নববধূ তার বিয়েতে শ্যালিকার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার এক অভিনব পরিকল্পনা করেছেন। সম্প্রতি, ঘটনাটি অনলাইনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, যেখানে এক নববধূ তার প্রতিশোধের বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়েছেন অনেকেই।
ঘটনার সূত্রপাত হয় কনের ভাইয়ের স্ত্রীর বিয়েতে। কনে জানান, শ্যালিকার বিয়েতে তাদের পরিবারের সদস্যদের যথেষ্ট অপমান করা হয়েছিল। বিয়ের দিন কিছু বিষয় নিয়ে শ্যালিকা এমন কিছু মন্তব্য করেছিলেন, যা কনে ও তার পরিবারের সদস্যদের মনে গভীর আঘাত দেয়।
এরপর যখন বিয়ের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করা হলো, তখন কনেপক্ষকে কার্যত এড়িয়ে যাওয়া হয়। তাদের পরিবারের কারো ছবি বা ভিডিওতে তেমন একটা দেখা যায়নি।
কনে জানান, তিনি শ্যালিকার কাছে তাদের পরিবারের কিছু ছবি চেয়েছিলে। কিন্তু শ্যালিকা জানান, তারা নাকি কোনো ছবি তোলেনি। কনে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি, কারণ তিনি স্পষ্ট মনে করতে পারেন ছবি তোলার সময় তিনি নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এরপর আসে কনের নিজের বিয়ের পালা। তিনি জানান, শ্যালিকার এই আচরণে তিনি এতটাই কষ্ট পেয়েছিলেন যে, তিনিও প্রতিশোধ নিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন। তাই, বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে শ্যালিকার নাম ভুল লেখেন।
শুধু তাই নয়, বিয়ের ভিডিওগ্রাফারকে তিনি এমনভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন যেন ভিডিওতে শ্যালিকাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, যদিও চূড়ান্ত ভিডিও থেকে তাকে বাদ দেওয়া হবে। কনে জানান, শ্যালিকাকে তিনি বুঝিয়ে দিতে চান, তাদের পরিবারের সাথে কেমন আচরণ করা হয়েছিল।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই কনের এই প্রতিশোধের পরিকল্পনার নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার অনেকে কনের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কয়েকজন তো এমনও পরামর্শ দিয়েছেন, শ্যালিকার কিছু ‘অসুন্দর’ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করার জন্য।
বিষয়টি স্পষ্ট করে দেয় যে, বিয়ের মতো আনন্দময় অনুষ্ঠানেও পারিবারিক কলহ দেখা দিতে পারে। অনলাইনে অনেকেই এই ধরনের ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল