বিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান, যেখানে সবাই চায় সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
জানা গেছে, ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী তার বিয়েতে এমন কয়েকজন বন্ধুকে ব্রাইডসমেড হিসেবে বেছে নিয়েছেন, যাদের সম্পর্কে তার ধারণা, তারা তেমন আকর্ষণীয় নন। উদ্দেশ্য একটাই—যেন বিয়ের ছবিতে তাকে অন্যদের চেয়ে বেশি সুন্দর দেখায়।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই তরুণীর ছোট বোন জানতে পারেন, তার আপু কেন এই বিশেষ বন্ধুদের ব্রাইডসমেড হিসেবে নির্বাচন করেছেন। প্রথমে ছোট বোন বিষয়টি জানতে পেরে বেশ অবাক হন এবং পরে আপুর কাছে এর কারণ জানতে চান।
উত্তরে আপু জানান, তিনি এমন লোকজনকে বেছে নিয়েছেন, যারা তার চেয়ে বেশি উজ্জ্বল বা আকর্ষণীয় নয়। তিনি আরও বলেন, বিয়ের দিন তিনি আত্মবিশ্বাসী থাকতে চান এবং নিজের জন্য একটু ‘স্বার্থপর’ হতে চান।
ছোট বোনের এই বিষয়টি ভালো লাগেনি। তিনি মনে করেন, আপু অন্যদের ছোট করে নিজের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে চাচ্ছেন, যা মোটেও উচিত নয়। তাই তিনি এই বিয়েতে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ছোট বোনের এই সিদ্ধান্তের পর মা তাকে বিষয়টি সমর্থন করতে বললেও তিনি তার সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি “AITA” (Am I the A–hole) নামের একটি ওয়েবসাইটে আলোচনা শুরু হয়। যেখানে অনেকেই ছোট বোনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তাদের মতে, আপুর এই ধরনের আচরণ ‘ছোট মনের’ পরিচয় দেয়। অনেকে আবার ব্রাইডসমেডদের এই বিষয়ে জানানো উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন।
ছোট বোন জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি ব্রাইডসমেডদের জানিয়েছিলেন এবং তাদের মধ্যে কয়েকজন বিয়েতে অংশ নিতে রাজি হননি।
এই ঘটনার মাধ্যমে বিয়ের মতো একটি আনন্দময় অনুষ্ঠানে সম্পর্কের গভীরতা ও পারস্পরিক সম্মান কতখানি গুরুত্বপূর্ণ, তা নতুন করে সামনে এসেছে।
একজন মানুষের সৌন্দর্য কেবল বাহ্যিক নয়, বরং তার আচরণেও তা প্রকাশ পায়। সবারই উচিত অন্যদের সম্মান করা এবং নিজের ভালো থাকার জন্য এমন কিছু না করা, যা অন্যের মনে আঘাত দেয়।
তথ্য সূত্র: People.com