বিয়ে নিয়ে চরম কাণ্ড! কনে’র এমন আচরণে হতবাক সবাই!

বর-বধূর বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা!

বিয়ের দিন ঘনিয়ে আসতেই এক নববধূ ও তার পরিবারের মধ্যে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। কনে নিজে বিয়ের কোনো প্রস্তুতিতেই আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, যার ফলে সকল দায়িত্ব এসে পড়েছে তার বোন এবং এক বান্ধবীর উপর। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, যেখানে নেটিজেনদের অনেকেই কনের এমন আচরণে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

সময় এগিয়ে আসছে, কিন্তু প্রস্তুতি নেই!

জানা যায়, বিয়ের দিনটি প্রথমে ২০২৬ সালের গ্রীষ্মকালে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা এক বছর এগিয়ে আনা হয়। এর ফলে, হাতে সময় কমে আসায় এখন দ্রুত সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু মূল সমস্যা হলো কনে নিজে কোনো কাজেই তেমন একটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তার বোন, যিনি বর্তমানে ল’ পড়ছেন, এবং কনের বান্ধবী, যিনি নার্সিংয়ের ছাত্রী, দুজনেই বিয়ের প্রস্তুতিতে প্রাণপণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যস্ততাও রয়েছে, যার কারণে সময়মতো সবকিছু করার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হচ্ছে।

সিদ্ধান্তহীনতায় জর্জরিত কনে

বিয়ের আনুষঙ্গিক বিভিন্ন বিষয়, যেমন- ব্রাইডাল শাওয়ার বা ব্যাচেলর পার্টির তারিখ নির্ধারণ করা নিয়েও কনে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে রাজি হচ্ছেন না। বোন জানিয়েছেন, এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে কনের বাগদত্ত (groom) তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। তিনি বান্ধবীর উদ্দেশ্যে এমন কথাও বলেন, “তুমি কনের অনুভূতি বুঝতে পারো না।” এমনকি, তিনি তার বান্ধবীর কাজের সমালোচনা করে তাকে এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।

আলোচনায় উদ্বিগ্ন নেটিজেনরা

কনের এমন আচরণে অনেকেই হতবাক হয়েছেন। অনলাইনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, সেখানে অনেকেই কনের এই ধরনের আচরণকে স্বাভাবিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, বিয়ের প্রস্তুতিতে কনের এমন উদাসীনতা খুবই হতাশাজনক। এমনকি কেউ কেউ এমনও বলছেন যে, কনে হয়তো এখনো বিয়ের জন্য প্রস্তুত নন।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে কনের সক্রিয় অংশগ্রহণ করা উচিত। যদি তিনি নিজে পরিকল্পনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন, তাহলে একজন ইভেন্ট প্ল্যানারের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও, পরিবারের অন্য সদস্যদের সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে, যাতে সবাই মিলে একটি সুন্দর অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে পারে।

তথ্য সূত্র: People

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *