বিয়েতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে না পারায় কনে তার বান্ধবীকে ব্রাইডস্ম্যানের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থেকেছে সামাজিক মাধ্যম। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে, তবে এর রেশ ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে, কারণ বন্ধুত্বের সংজ্ঞা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
জানা গেছে, কনে তার বান্ধবীদের নিয়ে একটি ডেস্টিনেশন ব্যাচেলর পার্টি বা বিয়ের আগের আনন্দ-উৎসবে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। গন্তব্য ছিল লাস ভেগাস। পার্টিতে যোগ দিতে আনুমানিক প্রায় ৩,০০০ মার্কিন ডলার খরচ হওয়ার কথা ছিল।
কনে তার বান্ধবীদের এই পার্টিতে আমন্ত্রণ জানালে, এক ব্রাইডস্ম্যান জানান যে তার পক্ষে এত টাকা খরচ করে সেখানে যাওয়া সম্ভব নয়। তিনি কনেকে তার আর্থিক অবস্থার কথা খুলে বলেন।
শুরুতে কনে বিষয়টি বুঝতে পারেন এবং জানান যে তিনি পরিস্থিতি বিবেচনা করবেন। তবে পরবর্তীতে জানা যায়, কনে তার এই বান্ধবীর প্রতি অসন্তুষ্ট হন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন তার ব্রাইডাল পার্টিতে থাকা সবাই যেন এই ব্যাচেলর পার্টিতে উপস্থিত থাকে।
এর ফলস্বরূপ, কনে ওই ব্রাইডস্ম্যানকে তার বিয়ের তালিকা থেকে বাদ দেন। কনের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক হন ওই বান্ধবী।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। অনেকে কনের এই সিদ্ধান্তকে ‘অবিবেচক’ এবং ‘স্বার্থপর’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তাদের মতে, বন্ধুত্বের সম্পর্ক যেখানে অর্থের মাপকাঠিতে মাপা হয়, সেখানে গভীরতা থাকে না।
কেউ কেউ পরামর্শ দিয়েছেন, ওই ব্রাইডস্ম্যান চাইলে কনের বিয়েতেও নাও যেতে পারেন। কারণ, এমন মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার কোনো মানে হয় না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকের দিনে বিয়ে এবং বিয়ের আনুষঙ্গিক খরচ অনেক বেড়ে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে, বন্ধুদের ওপরও এই খরচের চাপ আসে। সবার আর্থিক সামর্থ্য সমান নাও হতে পারে।
তাই বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে একে অপরের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং বাস্তবতাকে সম্মান জানানো জরুরি।
তথ্য সূত্র: পিপলস