দাদুর বিয়েতে না আসায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন নববধূ! উপহারও ফিরিয়ে দিলেন?

বিয়ে করতে যাওয়া এক তরুণীর মন খারাপ। তার দুটি বিয়ে—একটি কানাডায়, অন্যটি ইউরোপে। কিন্তু তাঁর দাদু-দিদা নাকি কোনোটাতেই আসতে পারবেন না!

সম্প্রতি, তিনি বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ‘রেডিট’ নামক একটি ওয়েবসাইটে ‘ব্রাইডজিলাস’ ফোরামে।

ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাঁর দাদু-দিদা বছরে ছয় মাস কানাডায় এবং ছয় মাস ইউরোপে কাটান। বিয়ের সময় তাঁরা ইউরোপে থাকবেন।

তাই কানাডার বিয়েতে আসা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তরুণীর প্রশ্ন, “আমার বিয়েতে না এসে কি তাঁরা ভুল করছেন?”

মেয়েটির দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানও হবে ইউরোপের অন্য একটি দেশে। সেখানেও নাকি তাঁরা আসতে পারবেন না, কারণ তাঁদের মতে, এক দিনের ট্রেন জার্নি অথবা দু’ঘণ্টার প্লেন-ভ্রমণ করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।

যদিও তরুণীর পরিবারের লোকজন তাঁদের বিমানবন্দরে নিয়ে আসার এবং গাড়ির ব্যবস্থা করতেও রাজি ছিলেন।

তরুণীর কথায়, তাঁর দাদু-দিদার বয়স বেশি নয় এবং তাঁরা বেশ সক্রিয় জীবন যাপন করেন।

তাই তাঁদের এই সিদ্ধান্তে তিনি আরও বেশি হতাশ। তিনি আরও জানান, বিয়ের কথা জানানোর অনেক আগে থেকেই তাঁর দাদু-দিদা তাঁদের ইউরোপ ভ্রমণের পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন।

তিনি পরিবারের প্রথম নাতি বা নাতনি, যিনি বিয়ে করতে চলেছেন।

বিয়েতে আসতে না পারলেও, তরুণীর মা-কে কিছু টাকা দিয়েছেন তাঁর দাদু-দিদা।

কিন্তু তরুণী সেই উপহার নিতে রাজি নন। কারণ, তিনি চান তাঁর প্রিয়জনরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুন।

তাঁর এই মনোভাবে মা হয়তো কিছুটা মনক্ষুণ্ণ হয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে ব্রাইডজিলাস ফোরামে অনেকেই তাঁদের মতামত জানিয়েছেন।

একজন মন্তব্য করেছেন, “এতে আপনি ‘ব্রাইডজিলা’ হচ্ছেন না, বরং একজন কষ্ট পাওয়া নাতনি হিসেবেই বিষয়টি দেখছেন।”

অনেকেই মনে করেন, তিনি তাঁর দাদু-দিদাকে বিয়েতে আসার জন্য জোর করতে পারেন না। তাঁদের এই সিদ্ধান্ত সত্যিই দুঃখজনক।

আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমি বুঝি না, কেন তাঁরা আপনার বিয়েতে আসতে চাইছেন না। এটা একটু অদ্ভুত।”

তিনি আরও পরামর্শ দিয়েছেন, মেয়ের এই আর্থিক উপহার গ্রহণ করা উচিত।

সবাই একমত হয়েছেন যে, তরুণীর অনুভূতি স্বাভাবিক এবং তাঁর এতে মন খারাপ হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *