বিয়ে প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, আর এই অনুষ্ঠানে পোশাকের ভূমিকাও অপরিহার্য। বিভিন্ন সংস্কৃতিতে বিয়ের পোশাকে ভিন্নতা দেখা যায়, যা সেই সংস্কৃতির ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের প্রতিচ্ছবি।
পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে সাদা গাউনের চল থাকলেও, অনেক পরিবারে নিজস্ব কিছু রীতি-নীতি থাকে, যা বিয়ের পোশাকের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হয়। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, যেখানে এক তরুণী তার বিয়ের পোশাকে স্বামীর পরিবারের একটি ঐতিহ্য ভাঙেন। যুক্তরাষ্ট্রের (উদাহরণস্বরূপ) এই ঘটনা নিয়ে অনলাইনে আলোচনা হয়েছে, যেখানে জানা যায়, কনে তার স্বামীর পরিবারের একটি নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরার রীতি ভেঙে সাদা গাউন পরেন।
জানা যায়, স্বামীর পরিবারের দীর্ঘদিনের রীতি ছিল, বিয়ের কনেদের “ব্লাশ কালারের” পোশাক পরতে হবে। কনে বিয়ের আগে থেকেই বিষয়টি জানতেন।
বিয়ের পোশাক কিনতে যাওয়ার সময় তিনি শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে যান। কনে নিজের পছন্দের সাদা গাউন পছন্দ করেন। শাশুড়ি পোশাকটি “ব্লাশ” রঙে পরিবর্তন করতে বললে কনে রাজি হননি, কারণ তাতে পোশাকটির ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা ছিল।
এরপর বিয়ের দিন যখন কনে সাদা গাউন পরে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করেন, তখন তার শাশুড়ি বেশ অসন্তুষ্ট হন। বিয়ের পর তিনি কনেকে এর কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
কনে জানান, পোশাক পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি এবং তিনি অন্য কোনো পোশাকও পছন্দ করেননি। এতে শাশুড়ি হতাশ হন। এমনকি বরও কনের এই সিদ্ধান্তে কিছুটা মনক্ষুণ্ণ হন।
এই ঘটনার পর, বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই কনের পক্ষ নিয়ে বলেন, বিয়ের পোশাক নির্বাচনের অধিকার সম্পূর্ণরূপে কনের।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, বিয়ের আগে কনের উচিত ছিল বিষয়টি নিয়ে বর এবং শাশুড়ির সঙ্গে আলোচনা করা।
এই ঘটনাটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পারিবারিক ঐতিহ্য এবং ব্যক্তিগত পছন্দের মধ্যেকার দ্বন্দ্বকে তুলে ধরে। বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে, উভয় পক্ষের সম্মতির গুরুত্ব অপরিসীম।
তথ্য সূত্র: পিপল