বৃষ্টিতে বিয়ের আসর! কনে যা করলেন, সবাই অবাক!

বৃষ্টির কবলে ভেস্তে যেতে বসা বিয়ে, কনের অপ্রত্যাশিত সিদ্ধান্তে হাসি ফুটল ২০০ অতিথির মুখে।

যুক্তরাষ্ট্রের কেনটাকি অঙ্গরাজ্যের এক যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রকৃতির অপ্রত্যাশিত আচরণে এক ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠল। সাধারণত, বিয়ের দিন ঝলমলে রোদ আর নীল আকাশের স্বপ্ন দেখেন সবাই।

কিন্তু অ্যাশলি সারজেন্ট এবং ম্যাসন সারজেন্ট-এর জীবনে বৃষ্টি নিয়ে এলো এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

গত ২৯শে জুন, ২০২৪ তারিখে ওহাইও অঙ্গরাজ্যের ইন্ডিয়ান হিল-এ তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। খোলা আকাশের নিচে বিয়ের আসর বসেছিল, যেখানে প্রায় ২০০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন।

বিয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু বিধি বাম! অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করেই মুষলধারে বৃষ্টি নামতে শুরু করে।

বৃষ্টিতে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাওয়ার উপক্রম। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই যখন হতাশ, তখন কনে অ্যাশলি এক ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিলেন।

তিনি বৃষ্টিকে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন, এবং সাথে সাথেই নাচতে শুরু করলেন। তার এই আচরণ দেখে উপস্থিত অতিথিরাও অবাক হয়ে যান।

ধীরে ধীরে তারাও বৃষ্টির মধ্যে নাচতে শুরু করেন এবং পুরো পরিবেশ আনন্দে ভরে ওঠে।

বৃষ্টির কারণে তৈরি হওয়া এই অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতিকে আনন্দের সাথে গ্রহণ করার বিষয়টি উপস্থিত সবার মনে গভীর রেখাপাত করে। বর ম্যাসন জানান, প্রথমে তিনি একটু চিন্তিত ছিলেন, কারণ অ্যাশলি বিয়ের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছিলেন।

তবে কনের হাসিমাখা মুখ দেখে তিনি নিশ্চিত হন যে, পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, তারা তা উপভোগ করতে প্রস্তুত।

ফটোগ্রাফার অ্যানি টকেট জানান, এই দৃশ্য তার নয় বছরের ক্যারিয়ারে দেখা অন্যতম সেরা অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “বৃষ্টিতে ভিজে কনে-বরের আনন্দ, তাদের উদ্বেগমুক্ত হয়ে ওঠা, সবকিছু ক্যামেরাবন্দী করতে পেরে আমি অভিভূত।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি দেখেছি, কীভাবে তারা তাদের জুতা খুলে বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে গেল, যেন তারা কোনো দুশ্চিন্তা ছাড়াই নিজেদের মতো করে বাঁচতে চাইছে।”

বৃষ্টির কারণে বিয়ের পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়ার বদলে, এটি যেন এক নতুন মাত্রা যোগ করলো। কনে অ্যাশলি জানান, “বৃষ্টি আটকাতে আমার কিছু করার ছিল না, তাই আমি এটিকে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।”

এই ঘটনার মাধ্যমে তারা শিখেছেন যে, জীবনের প্রতিকূলতাগুলো কীভাবে একসঙ্গে মোকাবেলা করতে হয়।

বৃষ্টির মধ্যে বিয়ের এই ব্যতিক্রমী উদযাপন তাদের দাম্পত্য জীবনের শুরুতেই এক বিশেষ বার্তা দিয়ে গেল। তাদের এই ভালোবাসার গল্প বুঝিয়ে দেয়, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও কীভাবে আনন্দ খুঁজে নেওয়া যায়।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *