ব্রিওশ: স্বাদে সেরা! নরম তুলতুলে এই রুটি জয় করছে সবার মন!

আর্টিকেল লেখার নির্দেশিকা অনুসরণ করে নিচে একটি নতুন বাংলা নিবন্ধ লিখুন:

নিত্যনতুন খাদ্য সংস্কৃতির হাত ধরে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা লাভ করছে ‘ব্রিয়োশ’ নামক এক প্রকারের রুটি। সাধারণত মিষ্টি ও মাখন সমৃদ্ধ এই রুটি বর্তমানে ‘সাওয়ারডফ’-এর (sourdough) জায়গা দখল করতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন খাদ্য বিশেষজ্ঞরা।

যারা রুটি ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই খবর সত্যিই আনন্দের।

ফরাসি এই রুটির আসল বৈশিষ্ট্য হলো এর স্বাদ এবং গঠন। ময়দা, ডিম, মাখন এবং ইস্টের মিশ্রণে তৈরি এই রুটি নরম এবং তুলতুলে হয়। এর স্বাদ অন্যান্য রুটির থেকে আলাদা হওয়ার কারণ হলো এতে প্রচুর পরিমাণে বাটার ব্যবহার করা হয়।

এই বাটারের কারণেই ব্রিয়োশ-এর স্বাদ এত আকর্ষণীয় হয়।

ব্রিয়োশের ইতিহাস বেশ পুরনো। পঞ্চদশ শতকে এর উৎপত্তিস্থল ফ্রান্সে। একসময় এটি ছিল উচ্চবিত্তদের খাবার।

কারণ, সেই সময়ে এই রুটির উপকরণগুলো বেশ দামি ছিল। বিশেষ করে বাটার ও ডিমের মতো উপাদানগুলো সহজলভ্য ছিল না। সময়ের সাথে সাথে এই রুটি সাধারণ মানুষের কাছেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বর্তমানে বিভিন্ন রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেতে ব্রিয়োশ-এর ব্যবহার দেখা যায়। বার্গার বান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্যান্ডউইচ তৈরিতে এর জুড়ি নেই।

ব্রিটিশ খাদ্য সমালোচক জেমস মর্টনের মতে, আসল ব্রিয়োশ তৈরিতে দীর্ঘ সময় ধরে গাঁজন প্রক্রিয়া চালানো হয় এবং ভালো মানের ফরাসি বাটার ব্যবহার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই রুটিতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে না, বরং বাটার এবং দীর্ঘ সময়ের গাঁজন প্রক্রিয়ার কারণে এর স্বাদ আরও গভীর হয়।

বর্তমানে, শুধু যুক্তরাজ্যেই নয়, বিশ্বের অনেক নামকরা রেস্তোরাঁতেও ব্রিয়োশের কদর বেড়েছে। এই রুটি একদিকে যেমন ক্লাসিক খাবারের সঙ্গে মানানসই, তেমনই এটি বিভিন্ন ফিউশন ডিশ তৈরিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে।

তবে, ব্রিয়োশ-এর এই জনপ্রিয়তা কি ‘সাওয়ারডফ’-এর (sourdough) দিন শেষ করে দেবে? খাদ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, তা বলা কঠিন।

কারণ, ‘সাওয়ারডফ’ রুটির নিজস্ব একটি ঐতিহ্য ও স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। তবে, ব্রিয়োশ যে খাদ্যরসিকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশেও ধীরে ধীরে এই রুটির চল বাড়ছে। যদিও এটি এখনো খুব পরিচিত নয়, তবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানের ক্যাফে ও বেকারিতে এটি পাওয়া যাচ্ছে।

ভবিষ্যতে, আমাদের দেশের খাদ্য সংস্কৃতিতেও ব্রিয়োশ-এর আরও বেশি ব্যবহার দেখা যেতে পারে। বিভিন্ন ধরনের স্যান্ডউইচ ও ডেজার্ট তৈরিতে এর সম্ভাবনা অনেক।

সুতরাং, যারা নতুন কিছু স্বাদ নিতে চান, তারা ব্রিয়োশ-এর স্বাদ নিতে পারেন। এই রুটি একদিকে যেমন ক্লাসিক, তেমনই আধুনিক। এটি খাদ্যরসিকদের জন্য একটি নতুন অভিজ্ঞতা হতে পারে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *