যুক্তরাজ্যে, ব্রিটিশ গ্যাস নামক একটি কোম্পানির গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি, এক উদ্বাস্তু ব্যক্তি, যিনি নতুন একটি সামাজিক আবাসন পেয়েছেন, তাকে পুরনো একটি দেনা পরিশোধ করতে হয়েছে, যা মূলত আগের ভাড়াটিয়ার বিদ্যুতের বিলের বকেয়া ছিল।
জানা গেছে, প্রি-পেমেন্ট মিটারের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহকারী ব্রিটিশ গ্যাস, নতুন গ্রাহককে পুরোনো দেনা পরিশোধ করতে বাধ্য করেছে।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, তিনি যখন নতুন ফ্ল্যাটে ওঠেন, তখন ব্রিটিশ গ্যাসকে বিষয়টি জানান।
কোম্পানিটি তাকে নতুন কোড এবং টপ-আপ কার্ড পাঠায় এবং তিনি ৬০ পাউন্ড পরিশোধ করেন।
কিন্তু পরে জানা যায়, আগের ভাড়াটিয়ার ২৩৬ পাউন্ডের বেশি বিদ্যুতের বিল বকেয়া ছিল।
ব্রিটিশ গ্যাস সঙ্গে সঙ্গে তার অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৪ পাউন্ড কেটে নেয় এবং তার অ্যাকাউন্টে মাত্র ৬ পাউন্ডের গ্যাস অবশিষ্ট থাকে।
বিষয়টি নিয়ে যখন তিনি ব্রিটিশ গ্যাসের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে একাধিকবার যোগাযোগ করেন, তখন কোনো সুরাহা হয়নি।
বরং, তাকে একই কথা বারবার বলা হয় এবং অভিযোগ জানানোর কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।
এমনকি, একজন পরামর্শদাতা তাকে সরাসরি ওই বকেয়া পরিশোধ করতে বলেন।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা না থাকায় তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ব্রিটিশ গ্যাস ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রথমে সামান্য কিছু অর্থ দিতে রাজি হয়, যা ছিল খুবই সামান্য।
পরে অবশ্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হয়।
তবে, ভুক্তভোগীর অভিযোগ, এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি গ্রাহকদের জন্য খুবই উদ্বেগের কারণ।
এই ঘটনার পাশাপাশি, ব্রিটিশ গ্যাসের গ্রাহক পরিষেবা নিয়ে আরও একটি গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, এমডি নামের একজন প্রতিবন্ধী নারী, যিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্রিটিশ গ্যাসের বিলিং সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছেন।
তার অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স কয়েক হাজার পাউন্ডের মধ্যে ওঠানামা করেছে।
এমনকি, কর্তৃপক্ষের নির্দেশের পরেও তার বিল সঠিকভাবে তৈরি করা হয়নি।
এমডির আশঙ্কা, বকেয়া পরিশোধ করতে না পারলে তিনি সরকারি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন।
এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন গ্রাহক পরিষেবার মান উন্নত করতে এবং সমস্যা সমাধানে ব্রিটিশ গ্যাসের আরও মনোযোগী হওয়া উচিত।
একইসঙ্গে, দুর্বল এবং অসহায় গ্রাহকদের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
তথ্য সূত্র: The Guardian