ব্রিটিশ টেনিস তারকা কেটি বোল্টার অনলাইনে প্রাণনাশের হুমকি ও অশ্লীল আক্রমণের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি বিবিসি স্পোর্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ২৮ বছর বয়সী এই ব্রিটিশ খেলোয়াড় জানিয়েছেন, খেলাধুলা বিষয়ক বাজি ধরার সঙ্গে জড়িত কিছু ব্যক্তি তাকে এই হুমকিগুলো দিয়েছে।
খেলোয়াড়দের প্রতি এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তিনি। বোল্টার জানান, তাকে পাঠানো বার্তাগুলোতে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করারও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এমনকি, তার প্রয়াত নানীর কবর ক্ষতিগ্রস্ত করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। বোল্টার বলেন, “আমি সবসময়ই মনে করি, খেলাধুলা উপভোগ করার একটি সুস্থ পরিবেশ থাকা উচিত।
কিন্তু এমন হুমকি পেলে মানসিকভাবে ভেঙে পড়া স্বাভাবিক।
টেনিস তারকার মতে, খেলোয়াড়দের উপর অনলাইনে হওয়া এই ধরনের আক্রমণ খেলার ফলাফল অথবা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত হতে পারে।
তিনি বলেন, “হারার পরে তো বটেই, জেতার পরও অনেক সময় এমন মন্তব্য শুনতে হয়।
বোল্টার আরও যোগ করেন, খেলোয়াড়দের সরাসরি আপত্তিকর ছবি পাঠানোর ঘটনাও বেড়েছে, যা খুবই উদ্বেগের বিষয়।
বোল্টার জানিয়েছেন, তিনি কিছু ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের জবাব দিয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, কেউ কেউ তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং জানিয়েছে যে তারা আসলে খেলোয়াড়টিকে সমর্থন করে।
এদিকে, অল ইংল্যান্ড লন টেনিস ক্লাবের প্রধান নির্বাহী স্যালি বোল্টন জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের অনলাইনে এবং মাঠের ভেতর—উভয় স্থানেই নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য তারা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, “খেলাধুলায় বাজি ধরার প্রবণতা বাড়ছে, তাই খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় আমাদের আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে।”
এই ঘটনার মাধ্যমে খেলাধুলা এবং অনলাইন জগতে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। খেলাধুলায় বাজি ধরার নামে কিছু মানুষের এমন আচরণ খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
একইসাথে, অনলাইনে হয়রানি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
তথ্য সূত্র: বিবিসি স্পোর্ট