ফ্লাইটে সিগারেট: অতঃপর মুখ খুললেন ব্রিটনি, কর্মকর্তাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য!

বিখ্যাত পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স সম্প্রতি একটি বিমানে ধূমপান করার অভিযোগে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। মে মাসের ২২ তারিখে মেক্সিকোর কাবো সান লুকাস থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসগামী একটি ফ্লাইটে এই ঘটনা ঘটে। সাধারণত, বিমানের ভেতরে ধূমপান করা আইনত নিষিদ্ধ। এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তাকে সতর্ক করেছে।

**ঘটনার সূত্রপাত**

জানা যায়, ৪৩ বছর বয়সী ব্রিটনি স্পিয়ার্স একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ধূমপান করেন। বিমানকর্মীরা তাকে সিগারেট নিভিয়ে ফেলতে বললে, তিনি তা মেনে নেন।

পরবর্তীতে, ল্যান্ড করার পর বিমানবন্দরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার কথা হয় এবং তাকে সতর্ক করা হয়।

এই ঘটনার পর, স্পিয়ার্স তার ব্যক্তিগত মতামত জানাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ঘটনার বর্ণনা দেন এবং কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপকে কিছুটা বাড়াবাড়ি হিসেবে উল্লেখ করেন।

তিনি আরও জানান, বিমানের একজন কর্মীর আচরণ তার ভালো লাগেনি।

স্পিয়ার্স তার পোস্টে লেখেন, “আমি দুঃখিত, যদি কারও মনে কষ্ট দিয়ে থাকি। তবে, বিমানের কর্মীরা সাধারণত আমাকে বিমানের পেছনের দিকে বসতে বলেন।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমি ভেবেছিলাম, কর্মকর্তারা আমাকে সমর্থন জানাতে এসেছেন। আমি তো কোনো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগে যাইনি, তাই বেশ অবাক হয়েছিলাম। আমি কি তবে বিখ্যাত?”

তিনি আরও বলেন, “একজন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট আমাকে সিগারেট খাওয়ার জন্য অভিযুক্ত করে, যা আমার কাছে খুব বেশি মনে হয়েছে। তিনি সম্ভবত আমাকে পছন্দ করেননি। তিনি আমাকে সিটবেল্ট বাঁধতে যেভাবে সাহায্য করেছিলেন, সেটাও আমার ভালো লাগেনি।”

**বিমানের ভেতরের পরিস্থিতি**

জানা গেছে, ঘটনার সময় ব্রিটনি স্পিয়ার্স তার নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি সম্ভবত মদ্যপান করেছিলেন এবং এরপর সিগারেট ধরান।

বিমানকর্মীরা সাথে সাথে তাকে সিগারেট নিভিয়ে ফেলতে বলেন।

উল্লেখ্য, ব্রিটনি স্পিয়ার্স একসময় তার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে ১৩ বছর ধরে অভিভাবকত্বের অধীনে ছিলেন। এই বিষয়ে আদালত তার বাবার তত্ত্বাবধানে তাকে রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে, ২০২১ সালে তিনি এই অভিভাবকত্ব থেকে মুক্তি পান।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *