বিমানে ধূমপান: অতঃপর যা ঘটল ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সাথে!

মার্কিন পপ তারকা ব্রিটনি স্পিয়ার্স, যিনি এককালে সঙ্গীতের জগতে রাজত্ব করেছেন, সম্প্রতি বিমানের অভ্যন্তরে ধূমপান করার কারণে বিতর্কে জড়িয়েছেন।

জানা গেছে, গত ২২শে মে, মেক্সিকোর কাবো সান লুকাস থেকে লস অ্যাঞ্জেলেসের উদ্দেশ্যে একটি বিমানে যাত্রা করার সময় এই ঘটনা ঘটে।

বিমান সূত্র অনুযায়ী, ব্রিটনি স্পিয়ার্স একটি ফ্লাইটে ধূমপান করছিলেন।

বিমানের কর্মীরা তাকে তৎক্ষণাৎ সিগারেট নিভিয়ে ফেলতে বলেন। নিয়ম অনুযায়ী, এরপর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়।

লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে কথা বলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)-এর নিয়ম অনুযায়ী, বিমানে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

১৯৮৮ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে এবং ২০০০ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বা সেখান থেকে ছেড়ে আসা সব ফ্লাইটে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালে ই-সিগারেট ব্যবহারের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

এই নিয়ম ভাঙলে ২৫,০০০ ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।

জানা গেছে, ব্রিটনি স্পিয়ার্স সম্ভবত এই নিয়ম সম্পর্কে অবগত ছিলেন না।

তিনি পরে তার সামাজিক মাধ্যমে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানান, বিমানের পরিবেশ ভিন্ন ছিল এবং সম্ভবত মদ্যপান করার কারণে তার এমনটা মনে হয়েছিল।

বিমান সংস্থাগুলি যাত্রী নিরাপত্তা এবং আরামের কথা মাথায় রেখে এই নিয়ম তৈরি করে।

বিমানের কেবিনে শুকনো বাতাস থাকার কারণে আগুন লাগার ঝুঁকি থাকে, যা একটি বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।

এছাড়াও, ধূমপানের কারণে অন্য যাত্রীদের অসুবিধা হতে পারে।

তাই, বিমানের যাত্রা নিরাপদ ও আরামদায়ক করতে এই ধরনের নিয়মকানুন মেনে চলা অত্যাবশ্যক।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল এন্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *