সমুদ্রে কাছে! বসবাসের খরচ সবচেয়ে কম, কোথায় জানেন?

খরচের বোঝা এখন যেন আকাশ ছোঁয়া। দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে, যেমন এক কাপ কফির দামও বাড়ছে, তেমনি অবকাশ যাপনের মতো বড় খরচগুলোও নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।

তবে, জীবনযাত্রার খরচ কিছুটা হলেও কমিয়ে আনা সম্ভব, যদি এমন কোনো স্থানে বসবাস করা যায় যেখানে জীবনযাত্রার ব্যয় এখনো তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী।

যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে প্রতি বছর একটি তালিকা প্রকাশ করে Niche.com। এই তালিকায় আবাসন, খাদ্য, গ্যাস এবং করের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয়।

এই সব তথ্য বিশ্লেষণ করে, Niche.com টেক্সাসের ব্রাউন্সভিলে শহরটিকে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে কম জীবনযাত্রার ব্যয়ের শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

টেক্সাসের একদম দক্ষিণে, মেক্সিকো সীমান্তের কাছে অবস্থিত ক্যামেরন কাউন্টির এই শহরে প্রায় ১ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষের বসবাস। শহরটি মেক্সিকো উপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় এর একটি বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ব্রাউন্সভিল টেক্সাসের ‘টাকো রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত। এখানে টাকোর জন্য আলাদা একটি পথও (taco trail) বিদ্যমান।

ব্রাউন্সভিলের আবাসন খরচও বেশ সাশ্রয়ী। Niche.com-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখানে একটি বাড়ির গড় দাম প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার ডলার এবং গড় ভাড়া ৯০০ ডলারের সামান্য বেশি।

শুধু তাই নয়, ভালো মানের পাবলিক স্কুলের কারণে এটি পরিবারগুলোর জন্য একটি আদর্শ স্থান। Niche-এর ‘সেরা পাবলিক স্কুল’ তালিকার শীর্ষ স্থানগুলোর মধ্যে ব্রাউন্সভিল অন্যতম।

স্থানীয় বাসিন্দারাও শহরটিকে ভালোবাসেন। তাদের মতে, এটি ছোট শহরের আকর্ষণ এবং আধুনিক জীবনের একটি সুন্দর মিশ্রণ।

গত বছর, বিনিয়োগ বিষয়ক ওয়েবসাইট ইনসাইডার মাংকি ব্রাউন্সভিলকে মাসে ১৫০০ ডলারের কম খরচে অবসর জীবন কাটানোর জন্য সেরা দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, এখানকার জীবনযাত্রার খরচ জাতীয় গড় খরচের থেকে ২৫ শতাংশ কম।

তবে, টেক্সাসের ব্রাউন্সভিলই একমাত্র শহর নয় যা এই তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। উইচিটা ফলস শহরটিও তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

এছাড়াও, ইন্ডিয়ানার ইভান্সভিল, সাউথ বেন্ড এবং ওহাইও’র ডেটন শহরও এই তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে।

জীবনযাত্রার এমন সাশ্রয়ী দিকটি হয়তো আমাদের দেশের জন্য, বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য, একটি মডেল হতে পারে। ভবিষ্যতের নগর পরিকল্পনায় এই ধরনের শহরের ধারণা কাজে লাগানো যেতে পারে।

তথ্য সূত্র: Travel and Leisure

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *