আগামী বছর ৩১শে মার্চ, ২০২৩ তারিখে ব্রাসেলস বিমানবন্দরে (Brussels Airport) বিমান পরিষেবা বন্ধ থাকার ঘোষণা করা হয়েছে। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মীসহ অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটের কারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ইউরোপ এবং আন্তর্জাতিক রুটে বিমান চলাচলে বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে।
ব্রাসেলস বিমানবন্দর ইউরোপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিমানবন্দর। অনেক আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা এখান থেকে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। এই ধর্মঘটের কারণে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ৩১শে মার্চে সকল বহির্গামী ফ্লাইট বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু তাই নয়, কিছু অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটও বাতিল হতে পারে।
বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করতে অথবা বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে চোখ রাখতে।
এই ধর্মঘটের কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের যাত্রী পরিষেবা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল – এয়ার কানাডা, অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইন্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ডেল্টা এয়ারলাইন্স, ইজিজেট, এমিরেটস, ইতিহাদ এয়ারওয়েজ, আইসল্যান্ড এয়ার, লুফথানসা, কাতার এয়ারওয়েজ, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স এবং ভিউলিং।
এছাড়াও ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স-এর পক্ষ থেকেও তাদের ব্রাসেলসগামী যাত্রীদের জন্য ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তনের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
যাত্রীদের সুবিধার জন্য, ব্রাসেলস এয়ারলাইন্স তাদের ফ্লাইটগুলি বিনা মূল্যে পুনঃনির্ধারণ করার বা টিকিটের পুরো মূল্য ফেরত দেওয়ার বিকল্প সরবরাহ করছে।
ব্রাসেলস বিমানবন্দরের পরিবর্তে, যাত্রীরা জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট ও কোলন অথবা সুইজারল্যান্ডের জুরিখের মত বিকল্প বিমানবন্দরে তাদের যাত্রা শেষ করতে পারেন। এছাড়া, ব্রাসেলস এবং আমস্টারডামের মধ্যে নিয়মিত ট্রেন পরিষেবাও চালু রয়েছে, যা প্রায় ২ ঘণ্টা ৭ মিনিটে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
জানুয়ারী, ২০২৫ পর্যন্ত ব্রাসেলস বিমানবন্দর দিয়ে ১৫ লক্ষেরও বেশি যাত্রী ভ্রমণ করেছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮.২ শতাংশ বেশি।
অতএব, ইউরোপ ভ্রমণেচ্ছুক যাত্রীগণকে তাদের ফ্লাইটের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করে জেনে নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম