হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড, যিনি রুপালি পর্দায় তার অভিনয় দিয়ে জয় করেছেন অগুনতি দর্শকের মন, অভিনয়ের পাশাপাশি কিভাবে সন্তানদের সাধারণ জীবন দেওয়ার চেষ্টা করেন, সেই গল্পটাই আজ তুলে ধরা হলো। তার দুই সন্তান, থিওডোর এবং বিয়াট্রিসকে নিয়ে তার জীবন, তাদের বেড়ে ওঠা, এবং অভিনয়ের জগৎ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা – এই সবকিছু নিয়েই আজকের আলোচনা।
২০০৬ সালে অভিনেতা সেথ গ্যাবলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড। বিয়ের এক বছর পরেই তাদের প্রথম সন্তান, থিওডোরের জন্ম হয়।
এরপর ২০১২ সালে তাদের পরিবারে আসে দ্বিতীয় সন্তান, বিয়াট্রিস। ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ডের বাবা, বিখ্যাত পরিচালক রন হাওয়ার্ডও তার মেয়েকে ছোটবেলায় মিডিয়ার আলো থেকে দূরে রেখেছিলেন, যাতে করে তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারেন।
ব্রাইস মনে করেন, তার সন্তানদের জন্যও একই কাজ করা উচিত। তিনি তাদের অভিনয় জগতের চাকচিক্য থেকে দূরে রাখতে চান। তাদের সাধারণ জীবন দেওয়ার জন্য ব্রাইস সবসময় চেষ্টা করেন।
একবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমার বাচ্চারা যখন আমি কাজের জন্য বাইরে যাই, তখন মোটেই পছন্দ করে না।
তবে তিনি আরও যোগ করেন, “আমি তাদের সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। তাদের সঙ্গে ভ্রমণ করাটা দারুণ, কারণ তারা দেখে যে আমি এবং আমার স্বামী এমন সৃজনশীল কাজ করি যা আমাদের অনুপ্রাণিত করে।
ব্রাইস তার সন্তানদের পছন্দসই কিছু প্রজেক্ট বেছে নিতেও ভালোবাসেন। যেমন, ২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘পেটস’ (Pets) ছবিতে তিনি কাজ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি জানি তারা এই ছবিটা পছন্দ করবে, সম্ভবত সেকারণেই এমন প্রজেক্টে কাজ করতে ভালো লাগে।
এবার আসা যাক ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ডের দুই সন্তানের প্রসঙ্গে।
থিওডোর নরম্যান গ্যাবেল, ২০১৮ সালে আঠারো বছরে পা রেখেছে। ২০০৭ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি তার জন্ম হয়। মা-বাবার সঙ্গে বিভিন্ন শুটিং লোকেশনে যাওয়ার সুবাদে থিওডোর অনেক মানুষের সঙ্গে মিশেছে।
ব্রাইস একবার বলেছিলেন, যেখানে দীর্ঘদিন শুটিং করতে যেতেন, সেখানে স্থানীয় স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতেন, যাতে তারা নতুন বন্ধু তৈরি করতে পারে। থিওডোর এখন চলচ্চিত্র নির্মাণের দিকে ঝুঁকছে।
ব্রাইসের বাবা রন হাওয়ার্ড জানিয়েছেন, “গ্রীষ্মকালীন শিবিরে সবাই তাকে তাদের ছবিতে অভিনয় করতে চেয়েছিল।
বিয়াট্রিস জেন গ্যাবেল, জন্ম: ১৯শে জানুয়ারি, ২০১২। মা ব্রাইসের মতে, বিয়াট্রিস খুবই কৌতূহলী এবং সবসময় তার ভাবনাগুলো প্রকাশ করতে ভালোবাসে।
একবার বিয়াট্রিস তার বাবা-মাকে বলেছিল, “মা-বাবা, তোমরা যে আমাকে দোকানে দেখে বাড়ি নিয়ে এসেছিলে, এটা আমার খুব ভালো লেগেছে।
উত্তরে ব্রাইস বলেছিলেন, “বিয়াট্রিস, তুমিই তো আমাদের বেছে নিয়েছিলে। তুমি আমার পেটে বড় হয়েছিলে, এভাবেই তো আমাদের দেখা হলো।
বিয়াট্রিস তার মায়ের কাজ খুব পছন্দ করে। একবার ‘আর্গাইল’ (Argylle) ছবির সেটে, যখন জন সিনা এবং দুয়া লিপা’র মতো তারকারা ছিলেন, তখন বিয়াট্রিস তাদের সম্পর্কে সবকিছু জানত।
এছাড়া, বিয়াট্রিসের ভালো বন্ধু হলো ক্রিস প্র্যাটের ছেলে জ্যাক।
ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ড তার সন্তানদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখেন এবং তাদের ভালোভাবে বেড়ে ওঠার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান। তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি।
তথ্য সূত্র: পিপল