দক্ষিণ কোরিয়ার জনপ্রিয় ব্যান্ড দল বিটিএস-এর দুই সদস্য, আরএম এবং ভি, সম্প্রতি তাদের বাধ্যতামূলক সামরিক পরিষেবা সম্পন্ন করেছেন। মঙ্গলবার তারা সামরিক বাহিনী থেকে মুক্তি পান, যেখানে ভক্তদের উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো।
জানা গেছে, মেক্সিকো, তুরস্ক এবং ব্রাজিল সহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসা প্রায় ২০০ জন ভক্ত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার নিয়ম অনুযায়ী, ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী সকল সুস্থ পুরুষকে ১৮ থেকে ২১ মাস পর্যন্ত সামরিক বাহিনীতে কাজ করতে হয়। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান উত্তেজনার কারণে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
এই বাধ্যবাধকতা থেকে ক্রীড়াবিদ, শাস্ত্রীয় ও ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতশিল্পী এবং ব্যালে ও অন্যান্য নৃত্যশিল্পীদের কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়, যদি তারা বিশেষ প্রতিযোগিতায় শীর্ষ স্থান অর্জন করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনেন। তবে, কে-পপ তারকা বা বিনোদন জগতের অন্য কারও জন্য এমন কোনো বিশেষ সুবিধা নেই।
বিটিএস সদস্যরা অবশ্য সামরিক পরিষেবা কিছুটা দেরিতে শুরু করতে পেরেছিলেন। দেশটির জাতীয় পরিষদে সামরিক পরিষেবা আইনে সংশোধনী আনা হয়, যার ফলে কে-পপ তারকাদের ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত তাদের তালিকাভুক্তি স্থগিত করার সুযোগ তৈরি হয়। এই সিদ্ধান্তের আগে, ব্যান্ড সদস্যদের সামরিক পরিষেবা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হবে কিনা, তা নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে বেশ আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল।
অবশেষে, ২০১৭ সালে ব্যান্ডের ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি ঘোষণা করে যে, সকল সাত সদস্যই তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
ইতিমধ্যে, দলের সবচেয়ে বয়স্ক সদস্য জিন গত জুন মাসে সামরিক বাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেছেন। জ-হোপ গত অক্টোবর মাসে তার সামরিক দায়িত্ব শেষ করেছেন।
খবর অনুযায়ী, জিমিন এবং জাংকুকও সম্প্রতি তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ শেষ করেছেন। দলের সপ্তম সদস্য সুগা বর্তমানে সামাজিক পরিষেবা এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন এবং এই মাসেই তার দায়িত্ব শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ভক্তদের জন্য আনন্দের খবর হলো, বিটিএস সদস্যরা ২০২৫ সালে দল হিসেবে আবার একত্রিত হওয়ার পরিকল্পনা করছেন। বাংলাদেশেও বিটিএস-এর অসংখ্য ভক্ত রয়েছে এবং তাদের প্রত্যাশা, প্রিয় শিল্পীদের একসঙ্গে আবার মঞ্চে দেখা যাবে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন