অভিজাত বলের দুনিয়ায় নতুন আকর্ষণ! ‘বাই ইনভাইটেশন অনলি’ নিয়ে আলোচনা

**প্যারিসের অভিজাত জগতে: আলেক্সান্দ্রা ব্রাউন চাং-এর নতুন উপন্যাস ‘বাই ইনভাইটেশন অনলি’**

নতুন একটি উপন্যাসের হাত ধরে পাঠকদের মন জয় করতে আসছেন লেখিকা আলেক্সান্দ্রা ব্রাউন চাং। তাঁর লেখা ‘বাই ইনভাইটেশন অনলি’ একটি তরুণ প্রজন্মের প্রেম বিষয়ক উপন্যাস, যা প্যারিসের অভিজাত জগতে ঘটে যাওয়া এক আকর্ষণীয় কাহিনি নিয়ে গঠিত।

আগামী ৬ সেপ্টেম্বর এই উপন্যাসটি প্রকাশিত হবে।

উপন্যাসটির মূল গল্প আবর্তিত হয়েছে চ্যাপিন বাকিংহাম এবং পাইপার উও কলিন্সকে নিয়ে। তারা দুজনেই ভিন্ন প্রেক্ষাপট থেকে আসা, কিন্তু প্যারিসের ‘লা ডান্স দেস দেবিউটেণ্টে’ নামক একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে ‘ডেবিউটেণ্ট অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব জেতার জন্য তারা পরস্পরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

লা ডান্স-এর মতো অনুষ্ঠানগুলো মূলত পাশ্চাত্যের সংস্কৃতিতে অভিজাত পরিবারের তরুণীদের সমাজের সঙ্গে পরিচয় করানোর একটি ঐতিহ্য। এমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সমাজের উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়েরা তাদের সামাজিক জীবন শুরু করে।

গল্পে দেখা যায়, পাইপার একজন মেধাবী ছাত্রী, যে কিনা বিজ্ঞান মেলায় তার কৃতিত্বের জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ পায়। অন্যদিকে, চ্যাপিন হলিউডের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান।

তাদের এই ভিন্ন জীবনযাত্রা এবং স্বপ্ন, তাদের পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড় করায়। লেখিকা ব্রাউন চাং জানিয়েছেন, এই উপন্যাসের অনুপ্রেরণা এসেছে তাঁর নিজের জীবনের একটি অভিজ্ঞতা থেকে।

তিনি বলেন, “আমি সবসময়ই আকর্ষণীয় এবং ভিন্ন ধরনের পরিবেশ দ্বারা মুগ্ধ হয়েছি। অভিজাতদের বল নাচের জগৎ ঐতিহ্য এবং আড়ম্বরের এক দারুণ মিশ্রণ। এই ধরনের প্রেক্ষাপট গল্প বলার জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করে।”

উপন্যাসে পাইপার এবং চ্যাপিনের বন্ধুত্বের গভীরতা, নিজেদের আদর্শের প্রতি অবিচল থাকা এবং সমাজের চাপকে জয় করার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

উপন্যাসটিতে প্রেম, বন্ধুত্ব এবং আত্ম-অনুসন্ধানের মতো বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে। বইটির একটি অংশে পাইপারের আমন্ত্রন পাওয়ার প্রতিক্রিয়া এবং তার বন্ধু সেবের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

প্রকাশিত হওয়ার পর, বইটি অনলাইন এবং বইয়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যাবে।

তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন-এর একটি নিবন্ধ অবলম্বনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *