কায়রোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ডেটা সেন্টারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যার ফলে চার জন কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে এবং আহত হয়েছেন আরও ২২ জনের বেশি। সোমবার দিনের এই ঘটনার জেরে মিশরের রাজধানী জুড়ে ব্যাহত হয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা।
ইন্টারনেট এবং ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ।
মিশরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হোসাম আবদেল গাফ্ফার মঙ্গলবার রয়টার্সকে জানান, কায়রোর এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে ‘টেলিকম ইজিপ্ট’-এর একটি ডেটা সেন্টারে। দেশটির সরকারি টেলিভিশনও সোমবারের এই অগ্নিকাণ্ডের খবর নিশ্চিত করেছে।
ঘটনার পর দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও, এর ফলে রাজধানী জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার দেশটির যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আমর তালাত এক বিবৃতিতে জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ধীরে ধীরে পরিষেবা স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ‘টেলিকম ইজিপ্ট’ কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে নিহত কর্মীদের প্রতি শোক প্রকাশ করে তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণে ফোন কল বন্ধ হয়ে যায় এবং ইন্টারনেট পরিষেবাও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ইন্টারনেট পর্যবেক্ষণ সংস্থা ‘নেটব্লকস’-এর তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে ইন্টারনেট সংযোগ স্বাভাবিক অবস্থার ৬২ শতাংশে নেমে এসেছিল।
জরুরি অবস্থার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন এলাকার অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবার জন্য বিকল্প নম্বর সরবরাহ করেছে, যাতে মূল হটলাইনে যোগাযোগ করা সম্ভব না হলেও মানুষ সহায়তা পেতে পারে।
শুধু ফোন কল নয়, ডিজিটাল ব্যাংকিং পরিষেবাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাংক সূত্র এবং স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ক্রেডিট কার্ড, এটিএম এবং অনলাইন লেনদেনের মতো পরিষেবাগুলোতেও সমস্যা দেখা দেয়।
যদিও ঘটনার দিন ব্যাংকগুলো বন্ধ ছিল, তারপরও ডিজিটাল পরিষেবার এই বিভ্রাট মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে তোলে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গাফ্ফার সোমবার জানান, আহতদের বেশিরভাগই ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা ‘মেনা’ জানিয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় আগুনের বিস্তার পুরো ভবনে বা আশেপাশের ছাদে ছড়াতে পারেনি।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন