উইমেন’স ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (WNBA)-এ বর্ণবাদের অভিযোগ উঠতেই মুখ খুললেন বাস্কেটবল তারকা ক্যাটলিন ক্লার্ক। শনিবারের একটি ম্যাচে শিকাগো স্কাই দলের খেলোয়াড় অ্যাঞ্জেল রীসের প্রতি দর্শকদের বর্ণবিদ্বেষমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনার তদন্তে WNBA-কে সমর্থন করছেন ইন্ডিয়ানা ফিভারের খেলোয়াড় ক্যাটলিন ক্লার্ক। সোমবার অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ক্লার্ক বলেন, “আমাদের খেলাধুলায়, সমাজে—কোথাও এই ধরনের আচরণের স্থান নেই।
তিনি আরও বলেন, “আমি মনে করি, WNBA এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করে ভালো কাজ করছে। সেই সঙ্গে, ইন্ডিয়ানা ফিভারও প্রথম থেকেই এই তদন্তে সহায়তা করছে। আশা করি, তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার সত্যতা জানা যাবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
শনিবারের ম্যাচে, যখন ইন্ডিয়ানা ফিভার ৫৬-৪২ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল, সেই সময় তৃতীয় কোয়ার্টারের খেলা শেষের প্রায় ৫ মিনিটের কাছাকাছি সময়ে ক্লার্ক এবং রীসের মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে। বাস্কেটের দিকে যাওয়ার সময় ক্লার্কের সঙ্গে রীসের ধাক্কা লাগে, এবং রীস মাটিতে পড়ে যান।
এর পরেই দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এই ঘটনার জেরে ক্লার্ককে ‘ফ্ল্যাগর্যান্ট ১’ এবং রীস ও বোস্টনকে ‘টেকনিক্যাল ফাউল’ দেওয়া হয়।
যদিও পরে দুজনেই এই ঘটনাকে তেমন গুরুত্ব দেননি, তবে এই ঘটনার সঙ্গে বর্ণবিদ্বেষমূলক মন্তব্যের কোনো যোগসূত্র আছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। ক্লার্ক এবং রীসের মধ্যে মাঠের বাইরের সম্পর্ক বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ হলেও, কলেজ জীবনে তাদের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল।
বিশেষ করে ২০২৩ সালের NCAA মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচে তাদের লড়াই বেশ আলোচনায় ছিল। শনিবারের ম্যাচে ইন্ডিয়ানা ফিভার ৯৩-৫৮ পয়েন্টে জয়লাভ করে।
ক্লার্ক ২০ পয়েন্ট, ১০ রিবাউন্ড এবং ১০ অ্যাসিস্ট নিয়ে ‘ট্রিপল-ডাবল’ করেন। অন্যদিকে, রীসের সংগ্রহ ছিল ১২ পয়েন্ট ও ১৭ রিবাউন্ড।
এই মৌসুমে উভয় দলের মধ্যে আরও তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। খেলাধুলায় বর্ণবাদের বিরুদ্ধে WNBA-এর এই পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করা যায়, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তথ্য সূত্র: সিএনএন