ক্যালিফোর্নিয়ায় ২ দিনের তাপপ্রবাহ! আতঙ্কে বাসিন্দারা?

ক্যালিফোর্নিয়ায় তীব্র গরমের সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা সেখানকার বাসিন্দাদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের আবহাওয়া দপ্তর, ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (NWS), দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার কিছু অংশে তীব্র গরমের সতর্কতা জারি করেছে, যা ২১শে মে পর্যন্ত বহাল থাকবে।

আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরের দিকে গরমের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি থাকতে পারে। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, উপকূলীয় এলাকার বাইরে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার তাপমাত্রা প্রায় ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, তবে সাধারণত তাপমাত্রা ৩৩-৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে (৯০-এর ঘরে) থাকবে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যালবাসাস এবং আগোরা হিলস, সান ফার্নান্দো উপত্যকা, সান্টা মনিকা পর্বতমালা এবং আরো কিছু অঞ্চলের বাসিন্দাদের এই গরমের কারণে বিশেষ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

গরমের কারণে বয়স্ক ব্যক্তি, শিশু এবং যাদের শরীরে সহজে ঘাম হয় না, তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যাদের বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা (এয়ার কন্ডিশনার) নেই, তাদের জন্যও এটি উদ্বেগের কারণ।

আবহাওয়া দপ্তর জনসাধারণকে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে, হালকা রঙের পোশাক পরতে এবং সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬টা পর্যন্ত বাইরের কাজকর্ম সীমিত করার পরামর্শ দিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। হিট স্ট্রোক হলে মাংসপেশিতে টান, বমি, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি, উচ্চ তাপমাত্রা এবং ত্বক লাল হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

এমন পরিস্থিতি দেখা দিলে দ্রুত জরুরি বিভাগে ফোন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্যালিফোর্নিয়াসহ সারা বিশ্বে ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।

এর ফলে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রায় ঝুঁকি বাড়ছে এবং দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনাও বাড়ছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আমরা দেখি, তাহলে গরমকালে আমাদের দেশেও এমন পরিস্থিতি প্রায়ই দেখা যায়।

বিশেষ করে গরিব ও শ্রমজীবী মানুষেরা, যেমন – রিকশাচালক, দিনমজুর এবং বয়স্ক ব্যক্তিরা এই গরমে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাই, ক্যালিফোর্নিয়ার এই খবর আমাদের জন্য একটি সতর্কবার্তা।

গরম থেকে বাঁচতে হলে পর্যাপ্ত জল পান করা, শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখা এবং প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যাওয়া উচিত না। অতএব, গরমের এই সময়ে আমাদের সকলেরই সতর্ক থাকা প্রয়োজন।

গরম থেকে বাঁচতে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন এবং অন্যদেরও সচেতন করুন।

তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *