ক্যালিফোর্নিয়ার বনে আগুন, বিশাল সিকোইয়া গাছের কি হলো?

ক্যালিফোর্নিয়ার বিশাল সেকোইয়া গাছের জঙ্গলে দাবানল, উদ্বেগে পরিবেশবিদরা। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়েরা ন্যাশনাল ফরেস্টে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে কয়েক হাজার বছরের পুরনো সেকোইয়া গাছ।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে এই অঞ্চলের বাস্তুতন্ত্রে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা গেছে, গত ২৪শে আগস্ট বজ্রপাতের কারণে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং ফরেস্টের প্রায় ৮৫ বর্গমাইল এলাকা এর কবলে পড়ে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের মতে, এখন পর্যন্ত আগুনটি প্রায় ১৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।

এই বিশাল সেকোইয়া গাছগুলো তাদের আকারের জন্য সুপরিচিত। এদের মধ্যে কিছু গাছের বয়স প্রায় ৩ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে।

গাছগুলো লম্বায় ৩০০ ফুটের বেশি লম্বা হতে পারে এবং আয়তনে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গাছ হিসেবেও এদের খ্যাতি রয়েছে। সাধারণত ক্যালিফোর্নিয়ার সিয়েরা নেভাদা পর্বতমালার পশ্চিমা ঢালে প্রায় ২৬০ মাইল এলাকাজুড়ে এদের দেখা যায়।

অগ্নিকাণ্ডের কারণে গাছগুলোকে বাঁচাতে দমকলকর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা গাছের গোড়ায় জল ছিটিয়ে মাটি ভেজা রাখার ব্যবস্থা করছেন এবং আগুন প্রতিরোধী বিশেষ আচ্ছাদন দিয়ে গাছের কাণ্ড ঢেকে দিচ্ছেন।

এছাড়াও, আগুনের উৎস খুঁজে বের করে তা নেভানোর চেষ্টা চলছে। কর্মকর্তারা বলছেন, “এই গাছগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত মূল্যবান এবং আমরা তাদের রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এমন দাবানলের ঘটনা ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে। কারণ, উষ্ণতা বৃদ্ধি এবং শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে বনের শুকনো পাতা ও ঝোপঝাড়ে দ্রুত আগুন ধরে যায়।

সেকোইয়া গাছগুলো সাধারণত অল্প তীব্রতার আগুনে অভ্যস্ত, যা তাদের বীজ ছড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু বর্তমানের এই আগুন অনেক বেশি তীব্র, যা গাছগুলোর জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছে।

বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের প্রধান লক্ষ্য হলো, যত দ্রুত সম্ভব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা এবং অবশিষ্ট গাছগুলোকে রক্ষা করা।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *