ক্যালিফোর্নিয়ায় তীব্র দাবানল, ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন বাসিন্দারা।
ক্যালিফোর্নিয়ার পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে সেখানকার কয়েকশো বাড়ি থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তীব্র বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের।
জানা গেছে, ইনয়ো কাউন্টিতে রুক্ষ এলাকা দিয়ে এই দাবানলটি বয়ে যাচ্ছে।
রবিবার বিকালে রাজ্যের ৬ নম্বর রুটের পাশে, বিশপ শহর থেকে প্রায় ৫ মাইল উত্তর-পূর্বে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ (Cal Fire)-এর হিসাব অনুযায়ী, সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ বর্গমাইলের বেশি এলাকা আগুনে পুড়ে গেছে।
বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি।
দমকল বিভাগের মুখপাত্র ক্লোয়ি ক্যাসটিলো জানিয়েছেন, ঘণ্টায় ৬৫ মাইল পর্যন্ত বেগে বাতাস বইছে, যার কারণে হেলিকপ্টার দিয়ে জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না এবং আকাশ থেকে অগ্নিনির্বাপক বিমানও চালানো যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, “বাতাসের গতি খুবই বিক্ষিপ্ত। এক মুহূর্তে এটি উত্তর দিকে যাচ্ছে, আবার অন্য মুহূর্তে পূর্ব দিকে।”
স্থানীয় লজ, চ্যালফ্যান্ট এবং হোয়াইট মাউন্টেন এস্টেট এলাকার প্রায় ৮০০ বাড়ির বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া বন ও অগ্নিনির্বাপণ বিভাগ (Cal Fire)-এর মতে, এই দাবানল “বিপন্ন প্রজাতির আবাসস্থল, জলধারা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য” -এর জন্য হুমকি স্বরূপ।
আগুনের কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে তদন্ত চলছে।
ইনয়ো কাউন্টিতে সম্প্রতি বৃষ্টিপাত খুবই কম হয়েছে এবং এলাকাটি মারাত্মকভাবে শুকনো হয়ে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খরা পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ক্যালিফোর্নিয়ার অধিকাংশ এলাকাতেই মাঝারি থেকে তীব্র খরা চলছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে দাবানলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বাড়ছে।
বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভূত হয়, বিশেষ করে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলো আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন