১ ডলার! লটারি জিতে রাতারাতি কোটিপতি, স্বপ্ন সত্যি!

ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর জীবন লটারিতে বিপুল পরিমাণ অর্থ জেতার মাধ্যমে রাতারাতি বদলে গেছে। সম্প্রতি, আন্দ্রেয়া উইলার নামের এই নারী সুপারলটো প্লাস জ্যাকপটে জয়লাভ করেছেন, যার অর্থমূল্য ছিল প্রায় ৩ কোটি মার্কিন ডলার।

বাংলাদেশী মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩২৭ কোটি টাকার সমান (২৬ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের বিনিময় হার অনুযায়ী, ১ মার্কিন ডলার = ১০৯ টাকা)। এই অভাবনীয় জয়ের পেছনে ছিল মাত্র ১ ডলারের একটি টিকিট।

বিজয়ী উইলার অবশ্য পুরো অর্থের বদলে নগদ অর্থ নিতে চেয়েছিলেন, যার পরিমাণ ছিল ১৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি। ফেডারেল ট্যাক্স কাটার পরে তিনি এই বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতে পান।

ক্যালিফোর্নিয়ার সোনোমা কাউন্টিতে অবস্থিত একটি ৭৬ গ্যাস স্টেশন থেকে তিনি এই টিকিটটি কিনেছিলেন। লটারির নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়ীর পুরস্কারের অর্থ দাবি করার জন্য ড্র হওয়ার তারিখ থেকে ১৮০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হয়।

বিজয়ী নম্বরগুলো ছিল ৩, ১৩, ১৭, ২৩, ৩৫ এবং ২৪। টিকিট বিক্রির দোকানটিও এই জয়ে বেশ খুশি।

তারা পুরস্কার হিসেবে প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা) বোনাস পাবে। শুধু প্রথম পুরস্কার বিজয়ীই নন, যারা টিকিট কিনেছিলেন, তাদের মধ্যেও কেউ কেউ ভাগ্যবান হয়েছেন।

ডোনাল্ড ব্রেক জুনিয়র নামের আরেকজন ক্যালিফোর্নিয়াবাসী তার অ-বিজয়ী টিকিট ব্যবহার করে ‘সেকেন্ড চান্স’ ড্রয়ের মাধ্যমে জিতেছেন ৩০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা)। ব্রেকের মতে, এই অর্থ দিয়ে তিনি কিছু ঋণের বোঝা হালকা করতে এবং বাড়ির কিছু সংস্কার করতে চান।

ক্যালিফোর্নিয়া লটারি কর্তৃপক্ষ রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলোর জন্যেও অর্থ সরবরাহ করে থাকে, যা নিঃসন্দেহে একটি ভালো দিক। সাধারণভাবে লটারি জেতার ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রে বেশ পরিচিত।

তবে বাংলাদেশেও বিভিন্ন সময়ে পুরস্কার জেতার সুযোগ আসে, যদিও এর পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম থাকে। হঠাৎ করে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতে পেলে তা সামলানো কঠিন হতে পারে।

তাই, এই ধরনের অপ্রত্যাশিত জয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব অনেক। ক্যালিফোর্নিয়া লটারি কর্তৃপক্ষের এই উদ্যোগ সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য একটি ইতিবাচক দিক।

এই ঘটনা প্রমাণ করে, সামান্য বিনিয়োগও কখনো কখনো জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *