ক্যালং-এর খাবারে মুগ্ধ, রিভিউয়ে চমক!

লন্ডনের একটি অভিনব রেস্টুরেন্ট: ফরাসি ও কোরিয়ান খাবারের মিশ্রণ নিয়ে ‘ক্যালং’।

লন্ডনের স্টোক নিউইংটনে অবস্থিত ‘ক্যালং’ (Cálong) নামের একটি রেস্টুরেন্ট বর্তমানে খাদ্যরসিকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর প্রধান আকর্ষণ হল ফরাসি এবং কোরিয়ান খাবারের এক চমৎকার মিশ্রণ।

রেস্টুরেন্টটির শেফ এবং মালিক জু ইয়ং ওন-এর রান্নার কৌশল এর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ওন আগে মিশেলিন স্টার পাওয়া ‘গ্যালভিন অ্যাট উইন্ডোজ’-এর প্রধান শেফ ছিলেন। সেখানে তিনি মূলত ক্লাসিক ফরাসি খাবার পরিবেশন করতেন।

‘ক্যালং’-এ তিনি সেই অভিজ্ঞতার সঙ্গে কোরিয়ান রান্নার উপাদান মিশিয়ে এক ভিন্ন স্বাদের সৃষ্টি করেছেন।

‘ক্যালং’ মূলত একটি স্বাধীন রেস্টুরেন্ট, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে দ্রুত পরিচিতি লাভ করেছে। এখানে বিভিন্ন ধরণের খাবারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল কোরিয়ান কিমচি দিয়ে তৈরি ক্রিস্পি ফ্রাইটার, শুকানো পোলাক মাছ দিয়ে তৈরি ক্রোকেট এবং ঝাল স্বাদের সি-ফুড জাম্পং (jjamppong)।

কিমচি ফ্রাইটারগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যা একটি হালকা ঝালযুক্ত মেয়োনেজের সাথে পরিবেশন করা হয়। এছাড়াও, কোরিয়ান ক্লে-পট রাইস বা সোট বাপ (sot bap), যা মাশরুম এবং বাটার দিয়ে তৈরি করা হয়, সেটিও এখানে একটি বিশেষ আকর্ষণ।

রেস্টুরেন্টটিতে পরিবেশটাও বেশ আকর্ষণীয়। সাধারণত, এখানে আসা ভোজনরসিকদের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের সংখ্যাই বেশি দেখা যায়। মেন্যুতে ফরাসি খাবার ও কোরিয়ান উপাদান-এর মিশ্রণ বেশ সুচিন্তিতভাবে পরিবেশন করা হয়।

যেমন, বাটার বিনস-এর সাথে স্ট্রাচ্চিয়াটেলা (stracciatella) পরিবেশন করা হয়, যেখানে সামান্য পরিমাণে ডোয়েনজাং (doenjang) পেস্ট ব্যবহার করা হয়।

খাবারের মান এবং দামের দিক থেকেও ‘ক্যালং’-এর সুনাম রয়েছে। এখানে জনপ্রতি খাবারের খরচ প্রায় ৩৫ পাউন্ড (প্রায় ৪,৮০০ টাকার মতো, যা বিনিময় হারের উপর নির্ভরশীল), যা ওনের আগের রেস্টুরেন্টের তুলনায় বেশ সাশ্রয়ী।

যারা ভিন্ন স্বাদের খাবার ভালোবাসেন এবং ফরাসি ও কোরিয়ান রান্নার ফিউশন উপভোগ করতে চান, তাদের জন্য ‘ক্যালং’ একটি আদর্শ জায়গা হতে পারে।

ক্যালং-এর ঠিকানা: 35 Stoke Newington Church Street, London N16।

ফোন নম্বর: 020-3561 4798। রেস্টুরেন্টটি শুক্রবার থেকে রবিবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২:৩০টা পর্যন্ত (রবিবার বেলা ৩:৩০টা পর্যন্ত) এবং বুধবার থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬:৩০টা থেকে রাত ১০:৩০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *