গরমের এই সময়ে আরামদায়ক অন্তর্বাসের চাহিদা বাড়ে, বিশেষ করে যখন দিনের বেলা তাপমাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের অন্তর্বাস পাওয়া গেলেও, হালকা ও আরামদায়ক ব্র্যালের চাহিদা বেশ লক্ষণীয়।
কটন-এর তৈরি, হালকা লাইনিং যুক্ত ব্র্যালেটের জনপ্রিয়তা বাড়ছে, যা গরমের জন্য খুবই উপযোগী।
এই ধরনের ব্র্যালেটের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর আরাম। পাতলা কাপড়ের কারণে এটি শরীরে লেগে থাকে না এবং সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে।
অনেক নারীই দিনের বেলা দীর্ঘ সময় ধরে ব্রা পরে থাকেন, সেক্ষেত্রে এই ধরনের ব্র্যালেট আরামদায়ক একটা বিকল্প হতে পারে। হালকা ওজনের কারণে এটি পরলে যেন মনে হয় কিছুই পরা হয়নি।
বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ব্র্যালেট পাওয়া গেলেও, এর গুণাগুণ এবং মূল্যের কারণে কিছু বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
সাধারণত, এই ধরনের ব্র্যালেটের দাম তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, একটি বিশেষ ব্র্যান্ডের ব্র্যালেট, যা প্রায় ১৩ থেকে ২০ মার্কিন ডলার মূল্যে পাওয়া যায়।
বাংলাদেশী মুদ্রায় এর দাম ১,৪০০ থেকে ২,২০০ টাকার মধ্যে হতে পারে (মুদ্রার বিনিময় হার অনুসারে)।
এই ব্র্যালেটগুলো সাধারণত কটন বা কটন-ইলাস্টেন ব্লেন্ড দিয়ে তৈরি করা হয়। যা সহজে ধোয়া যায় এবং ব্যবহারের পর সহজে কুঁচকে যায় না।
অনেক ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, এই ব্র্যালেটগুলো দ্বিতীয় চামড়ার মতো অনুভূতি দেয় এবং সারাদিন পরে থাকলেও অস্বস্তি হয় না।
তবে, কিছু ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন। কিছু ব্র্যালেটের ফিতা সরু হওয়ার কারণে অতিরিক্ত সাপোর্ট নাও পাওয়া যেতে পারে, বিশেষ করে যাদের স্তন ভারী।
এছাড়া, কিছু ক্ষেত্রে পোশাকের নিচে এর সেলাই দেখা যেতে পারে। কেনার আগে অবশ্যই নিজের প্রয়োজন ও শরীরের গড়ন অনুযায়ী সঠিক ব্র্যালেট নির্বাচন করতে হবে।
গরমের সময় আরামদায়ক পোশাকের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। হালকা ও আরামদায়ক ব্র্যালেট এক্ষেত্রে একটি ভালো সমাধান হতে পারে। সঠিক ব্র্যালেট বাছাই করে আপনি গরমের দিনেও স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতে পারেন।
তথ্য সূত্র: পিপল