কানাডার সরকার তাদের নাগরিকদের, যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করেন, তাদের জন্য একটি জরুরি সতর্কবার্তা জারি করেছে।
এই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে যে, মার্কিন সীমান্ত কর্মকর্তারা কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই ভ্রমণকারীদের ইলেকট্রনিক ডিভাইস—যেমন ফোন, ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেট—তল্লাশি করতে পারেন।
কানাডার পক্ষ থেকে ভ্রমণকারীদের প্রতি জানানো হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রম করার সময় তাদের ‘যাচাই-বাছাইয়ের’ জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
ডিভাইস তল্লাশির সময় সহযোগিতা করতে অস্বীকার করলে ডিভাইস জব্দ করা, ভ্রমণ বিলম্বিত হওয়া, অথবা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অনুমতি না পাওয়ার মতো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারেন ভ্রমণকারীরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (CBP) এজেন্টরা তল্লাশির সময় ডিভাইস আনলক করার জন্য পাসওয়ার্ড চাইতে পারেন।
যদি কোনো যাত্রী এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন, তবে তার ইলেকট্রনিক গ্যাজেট বাজেয়াপ্ত হওয়ার এবং দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকার ঝুঁকি থাকে।
কানাডার ভ্রমণ পরামর্শে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত পার হওয়ার আগে ডিভাইসগুলোকে অবশ্যই ‘এয়ারপ্লেন মোডে’ রাখতে হবে।
এর কারণ হলো, কোনো অপ্রত্যাশিত ফাইল ডাউনলোড হওয়ার কারণে স্ক্রিনিং প্রক্রিয়া জটিল হতে পারে।
সম্প্রতি, এ ধরনের তল্লাশির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
গত মাসে, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির একজন লেবানীয় সহকারী অধ্যাপক ও চিকিৎসক ড. রেশা আলাউয়েকে বোস্টন লোগান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন কর্মকর্তারা তার ফোনে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনীর মুছে ফেলা ছবি খুঁজে পাওয়ার পর লেবাননে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছে যে, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ডিভাইস তল্লাশি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই ধরনের কার্যক্রমকে দীর্ঘদিন ধরে আক্রমণাত্মক হিসেবে সমালোচনা করে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট সীমান্ত কর্মকর্তাদের, ওয়ারেন্ট ছাড়াই ডিভাইস তল্লাশি করার ক্ষমতাকে সমর্থন করে।
তারা এক্ষেত্রে ‘বর্ডার সার্চ এক্সেপশন’ নামের একটি আইনের কথা উল্লেখ করেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন