সদ্য প্রয়াত হয়েছেন জেনিফার জেমস, যিনি জীবনের কুড়িটি বছর স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করেছেন। বিরল এই নারী চার বার ক্যান্সারকে জয় করে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
গত মাসে, আমেরিকার কলোরাডোর একটি শান্ত শহর বেরথুডে, একটি গুলি কেড়ে নেয় তার জীবন।
৪৯ বছর বয়সী জেনিফার, যিনি চার সন্তানের জননী ছিলেন, ঘটনার সময় নিজের বাড়িতেই ছিলেন। ২৮শে এপ্রিল, গভীর রাতে, তার বাড়িতে একটি গুলি এসে লাগে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সময় রাত ১১টা ২০ মিনিটে পুলিশের কাছে খবর যায় যে, বেরথুড শহরে একজন মহিলাকে গুলি করা হয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ এবং জরুরি বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ২০ বছর বয়সী ইবিনিজার ওয়ার্কু নামের এক যুবক এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। কাছাকাছি বাড়ির নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়।
পরে, ১লা মে তারিখে ওয়ার্কুকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে যে, বন্দুক পরিষ্কার করার সময় অসাবধানতাবশত গুলিটি চলে যায়। সে জানায়, গাড়িতে বসে বন্দুক পরিষ্কার করার সময়, জানালা দিয়ে গুলিটি ছোড়া হয়।
এরপর, নিজের ভুল ঢাকতে সে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ওয়ার্কুর বিরুদ্ধে বর্তমানে ‘ফার্স্ট-ডিগ্রি মার্ডার-এক্সট্রিম ইনডিফারেন্স’ (ফার্স্ট-ডিগ্রি হত্যা) এর অভিযোগ আনা হয়েছে। এই অপরাধের জন্য তাকে ১.২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি টাকার সমান) জামানতের বিনিময়ে আটক রাখা হয়েছে।
আগামী ৬ই জুন তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
জেনিফারের বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা তার স্মৃতিচারণ করে শোক প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, জেনিফার ছিলেন সবসময় হাসিখুশি এবং সবার প্রিয় একজন মানুষ।
জানা গেছে, মৃত্যুর সময় তিনি ক্যান্সারের পঞ্চম পর্যায়ের চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এবং কেমোথেরাপি চলছিল। জেনিফারের স্মরণে ১৪ই মে একটি শোকসভার আয়োজন করা হয়।
তথ্য সূত্র: পিপল