কারা সান্টানা ও শ্যানন লেটোর বিবাহ বন্ধন: হলিউডের ঝলমলে এক উদযাপন
হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কারা সান্টানা এবং থার্টি সেকেন্ডস টু মার্স ব্যান্ডের ড্রামার শ্যানন লেটোর বিয়ের খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গত ৫ই মে, ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসে এক অন্তরঙ্গ অনুষ্ঠানে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যরা।
অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় একটি ব্যক্তিগত বাসভবনে। যেখানে আমন্ত্রিত অতিথিদের সংখ্যা ছিল মাত্র ৫০ জন।
বিয়ের সাজে কারা সান্টানা পরেছিলেন ড্যানিয়েল ফ্রাঙ্কেলের ডিজাইন করা একটি আকর্ষণীয় সিল্কের গাউন, যার হাত ছিল লম্বা এবং পিছন দিকটা ছিল খোলা।
অন্যদিকে, শ্যানন লেটো পরেছিলেন ব্ল্যাক ডাবল-ব্রেস্টেড আমিরি স্যুট। সান্টারানা তার রিসেপশনেও একই ডিজাইনারের ডিজাইন করা ব্যাকলেস সিল্কের হল্টার টপ এবং সাদা প্যান্ট পরেছিলেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন অভিনেত্রী অলিভিয়া কাল্পো, যিনি তার স্বামী ক্রিশ্চিয়ান ম্যাককাফ্রের সঙ্গে এসেছিলেন। অলিভিয়া একটি কালো পোশাক পরেছিলেন, যেখানে তার বেবি বাম্প স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল।
শ্যানন লেটোর ভাই এবং থার্টি সেকেন্ডস টু মার্স ব্যান্ডের সদস্য জ্যারেড লেটোও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি ছিলো বেশ আকর্ষণীয়। প্রায় ৪,০০০ মোমবাতি দিয়ে বাড়িটির উঠোন সাজানো হয়েছিল।
টেবিলগুলোতে ক্রিম রঙের টেবিল ক্লথ এবং সাদা গোলাপ ও মোমবাতি দিয়ে সেন্টারপিস তৈরি করা হয়।
“ভogue মেক্সিকো”-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সান্টানা জানান, “আমরা শুধুমাত্র ৫০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম, যাতে এটি একটি অন্তরঙ্গ বিবাহ অনুষ্ঠান হয়। এটি ছিল চিরাচরিতের বাইরে, ব্যক্তিগতকৃত এবং খুবই উপভোগ্য!”
জানা যায়, এই বিয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছিল মাত্র চার সপ্তাহের মধ্যে।
শ্যানন নিজে হাতে বিয়ের কার্ড ডিজাইন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, এই দম্পতি প্রায় দু’ দশক আগে প্রথম পরিচিত হয়েছিলেন।
তবে কোভিড-১৯ মহামারীর সময় তাদের মধ্যে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছর তারা বাগদান সম্পন্ন করেন।
সান্টানা আরও বলেন, “আমি কখনোই বিয়ের স্বপ্ন দেখিনি।
শ্যাননের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আমাকে বুঝিয়েছিল যে, সত্যিকারের ভালোবাসা হলো এমন একটি জায়গা, যেখানে ভারসাম্য এবং দৃঢ়তা থাকে; যা আমাকে আমার স্বপ্নগুলি অনুসরণ করতে, অবিচল থাকতে এবং আমি যেমন হতে চাই, তেমন হওয়ার সাহস ও আত্মবিশ্বাস জোগায়।”
তথ্যসূত্র: পিপল ম্যাগাজিন