যুক্তরাজ্যে (UK) বসবাসকারী একজন মহিলার বয়স্ক বাবা-মায়ের দেখাশোনার খরচ বাবদ বকেয়া ১০,০০০ পাউন্ড (প্রায় ১৩ লক্ষ টাকার বেশি) পরিশোধ করেনি একটি কেয়ার হোম। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন হয়রানির শিকার হওয়ার পর অবশেষে ওই অর্থ আদায় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি ঘটেছে লেস্টারশায়ারে। জানা যায়, মিসেস জে.এইচ নামের ওই মহিলার স্বামী গত বছর মারা যান। স্বামীর মৃত্যুর আগে তিনি ওই কেয়ার হোমে ছিলেন।
প্রথমে নিজের সঞ্চয় থেকে তিনি তাঁর স্বামীর দেখাশোনার খরচ চালাতেন। কিন্তু সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, যখন তাঁদের সঞ্চয় একটি নির্দিষ্ট সীমার নিচে নেমে আসে, তখন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ওই খরচ বহন করতে রাজি হয়।
এরপর কর্তৃপক্ষ সরাসরি কেয়ার হোমটিকে মাসিক ৫,০০০ পাউন্ড করে পরিশোধ করতে শুরু করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ যখন তাঁদের মূল্যায়ন সম্পন্ন করে, ততদিনে মিসেস জে.এইচ-কে ব্যক্তিগতভাবে আরও পাঁচ মাসের খরচ দিতে হয়েছিল।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে ওই সময়ের বকেয়া পরিশোধ করে এবং কেয়ার হোমের কাছ থেকে মিসেস জে.এইচ-কে তাঁর দেওয়া প্রায় ২৩,০০০ পাউন্ড ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ এর মধ্যে ১৩,০০০ পাউন্ড পরিশোধ করলেও, বাকি ১০,০০০ পাউন্ড পরিশোধে নানা টালবাহানা করতে থাকে।
মিসেস জে.এইচ-এর অভিযোগ, কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ বারবার বলেছে যে, খুব শীঘ্রই তারা বকেয়া পরিশোধ করবে, কিন্তু বাস্তবে তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এই ঘটনার কারণে তিনি মানসিক ও আর্থিক উভয় দিক থেকেই চরম উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন, বিশেষ করে স্বামীর মৃত্যুশোকের সময়ে এমন ঘটনা তাঁর কষ্ট আরও বাড়িয়ে দেয়।
পরে বিষয়টি একজন সাংবাদিকের নজরে আসে। তিনি কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাঁদের অসহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন। সাংবাদিকের হস্তক্ষেপে কেয়ার হোম কর্তৃপক্ষ জানায়, তারা বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে মিসেস জে.এইচ-কে বকেয়া পরিশোধ করা হবে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষও জানায়, তারা কেয়ার হোমের সঙ্গে যোগাযোগ করে দ্রুত অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করবে। এরপর প্রায় আট মাস পর, অবশেষে মিসেস জে.এইচ তাঁর পাওনা টাকা ফেরত পান।
এই ঘটনা থেকে বোঝা যায়, বয়স্ক ব্যক্তিদের দেখাশোনার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন এবং সেগুলোর স্বচ্ছতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। কোনো ধরনের জটিলতা দেখা দিলে দ্রুত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিকার চাওয়া উচিত।
তথ্য সূত্র: যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদ মাধ্যম।