ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি পরিত্যক্ত নৌকায় পচন ধরা ১১ জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইন্স দ্বীপপুঞ্জের কানৌয়ান দ্বীপে এই নৌকাটি পাওয়া গেছে। স্থানীয় পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
সোমবার, ২৭শে মে তারিখে রয়্যাল সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড দ্য গ্রেনাডাইন্স পুলিশ ফোর্স (আরএসভিজিপিএফ) এক বিবৃতিতে জানায়, ক্যানুয়ান দ্বীপের চেরি হিল এলাকার কাছে লিটল বে-র আশেপাশে নৌকাটি পাওয়া যায়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “নৌকাটি প্রাথমিক অনুসন্ধানের সময়, পচন ধরা মানুষের দেহাবশেষ পাওয়া গেছে।”
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদেহগুলোর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি এবং ঘটনার তদন্ত চলছে।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, নৌকাটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪৫ ফুট এবং প্রস্থ ছিল ১২ ফুটের মতো। মৃতদেহগুলোর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, তাদের “পূর্ণাঙ্গ” অবস্থায় পাওয়া যায়নি।
মৃতদেহগুলো সেন্ট ভিনসেন্টের মূল ভূখণ্ডে পাঠানো হয়েছে এবং কিংস্টাউনের মর্গে রাখা হয়েছে।
তদন্তের সময় নৌকার ভেতর থেকে মালির কিছু পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়েছে। মালি পশ্চিম আফ্রিকার একটি দেশ। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর মালি ভ্রমণে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছিল, যেখানে সন্ত্রাসী হামলা, অপহরণ ও সহিংসতার ঝুঁকির কথা বলা হয়েছিল।
আরএসভিজিপিএফ এই ঘটনার গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তাদের মূল লক্ষ্য হলো নৌকার উৎস এবং মৃতদেহগুলোর পরিচয় শনাক্ত করা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা খুব দ্রুতই এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে।
এই ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল সেন্ট কিটস ও নেভিসেও। সেখানকার একটি নৌকায় ২০১৯টি মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল, যাদের মধ্যে কয়েকজনের কাছে মালির পরিচয়পত্র ছিল।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ, যা বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত, সেখানে এমন ঘটনা উদ্বেগের কারণ। পুলিশ ঘটনার তদন্তের পাশাপাশি এর পেছনের কারণগুলো জানার চেষ্টা করছে।
তথ্য সূত্র: পিপল
