**ডালাস থেকে হংকং: ক্যাথে প্যাসিফিকের নতুন ফ্লাইটে বিজনেস ক্লাসের অভিজ্ঞতা**
ক্যাথে প্যাসিফিক সম্প্রতি তাদের নতুন ফ্লাইট, CX875, চালু করেছে, যা টেক্সাসের ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (DFW) থেকে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (HKG) সরাসরি চলাচল করবে।
এই রুটের মাধ্যমে, এখন টেক্সাস এবং হংকং-এর মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। শুধু তাই নয়, ক্যাথে প্যাসিফিকের নেটওয়ার্কে এটি সবচেয়ে দীর্ঘ রুটের ফ্লাইট।
এই নতুন ফ্লাইটটি শুধু যাত্রী পরিবহনের সুযোগ তৈরি করবে না, বরং এটি ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পর্যটকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করবে।
ক্যাথে প্যাসিফিকের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, লাভিনিয়া লাউ, জানিয়েছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজার আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেক্সাসের অর্থনীতি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই বাণিজ্যিক দিক থেকে এটি আমাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ।”
যাত্রা শুরুর আগে, বিজনেস ক্লাসের যাত্রীদের জন্য ডালাস-ফোর্ট ওয়ার্থ বিমানবন্দরে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের অ্যাডমিরাল ক্লাবে প্রবেশাধিকারের ব্যবস্থা ছিল।
সেখানে আরামদায়ক বসার জায়গা, নানা ধরনের খাবার এবং পানীয়ের ব্যবস্থা ছিল। এরপর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, ফিতা কাটা এবং ঐতিহ্যবাহী লায়ন ডান্সের মাধ্যমে ফ্লাইটটির যাত্রা শুরু হয়।
বিমানের অভিজ্ঞতা ছিল অসাধারণ।
আধুনিক এয়ারবাস A350-1000 বিমানে ছিল আরামদায়ক সিট, যা প্রয়োজন অনুযায়ী সমতল করে শোয়ার ব্যবস্থা ছিল।
প্রত্যেক সিটে যাত্রী সুবিধার জন্য বালিশ, কম্বল, স্লিপার, এবং বামফোর্ড-এর সৌজন্যে তৈরি একটি বিশেষ কিট ছিল।
কিটে ছিল ঘুমের মাস্ক, কানের প্লাগ, টুথব্রাশ ও টুথপেস্টের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস। এছাড়া, এতে আরামের জন্য বিশেষ সুগন্ধি স্প্রে এবং বডি জেলও ছিল।
ক্যাথে প্যাসিফিকের খাদ্য মেনুও ছিল বেশ আকর্ষণীয়।
হংকং-এর বিশেষ খাবার, যেমন চিংড়ি ওয়ানটন স্যুপ, ছিল উপভোগ করার মতো। এছাড়াও, তাদের জনপ্রিয় বার্গার ছিল অসাধারণ, যা যাত্রীদের মন জয় করে।
খাবারের সঙ্গে ছিল ‘বেটসি বিয়ার’ নামক বিশেষ ধরনের বিয়ার, যা উড়োজাহাজের উচ্চতার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
ডেজার্ট হিসেবে ছিল ডাবল চকোলেট নোগাট মাউস।
ব্রেকফাস্ট মেনুতে ছিল গরম পেস্ট্রি, ফল এবং চিয়া সিড পুডিং।
হংকং থেকে ডালাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলে, ক্যাথে প্যাসিফিক বিখ্যাত হংকং রেস্টুরেন্ট লুইজ এবং ড্যাডলসের সঙ্গে খাবার পরিবেশনের জন্য সহযোগিতা করে।
বিমানে বিনোদনের ব্যবস্থাও ছিল চমৎকার।
যাত্রীরা সিনেমা, টিভি শো, গেমস এবং আরও অনেক কিছু উপভোগ করতে পারছিলেন। ঘুমের সময় আরামের জন্য সিটের সাথে অতিরিক্ত কুশন এবং উষ্ণ কম্বল সরবরাহ করা হয়েছিল।
বর্তমানে, ডালাস-হংকং রুটে সপ্তাহে চার দিন ফ্লাইট চলাচল করছে এবং খুব শীঘ্রই এটি দৈনিক করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ক্যাথে প্যাসিফিকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে লাভিনিয়া লাউ বলেন, “ডালাস আমাদের জন্য শুধু ডালাস নয়, আমরা এটিকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অংশে এবং মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকাতেও আমাদের ব্যবসার কেন্দ্র হিসাবে ব্যবহার করতে চাই।
এটি আমাদের জন্য একটি উপযুক্ত প্রবেশদ্বার।”
এই নতুন ফ্লাইট রুটের মাধ্যমে, এখন বাংলাদেশের যাত্রীরাও হংকং এবং এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যের সঙ্গে সহজে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লিজার