ধ্বংস! নিউ ইয়র্কের হারে ২-১, সেল্টিক্সের প্রতিশোধ?

সেল্টিক্সের দাপটে ধরাশায়ী, নিউ ইয়র্কের লিড ২-১ এ

গত শনিবার, এনবিএ প্লে-অফের সেমিফাইনালে নিউ ইয়র্ক নিক্সকে ১১৫-৯৩ পয়েন্টে হারিয়ে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে ফিরে এসেছে বোস্টন সেল্টিক্স। খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল সেল্টিক্স। তাদের বিধ্বংসী থ্রি-পয়েন্ট শ্যুটিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নিউ ইয়র্ক।

প্রথম দুই ম্যাচে থ্রি-পয়েন্ট শ্যুটিংয়ে ব্যর্থ হলেও, তৃতীয় ম্যাচে যেন নিজেদের আসল রূপে ফিরে আসে সেল্টিক্স। জেসন টেইটাম ২২ পয়েন্ট, ৯ রিবাউন্ড ও ৭ অ্যাসিস্ট করে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। প্লে-অফে অসাধারণ ফর্মে থাকা প্যাটিন প্রিটচার্ডের ২৬ পয়েন্ট সেল্টিক্সের জয়কে আরও সহজ করে তোলে। এছাড়া, জয়লান ব্রাউন ১৯ এবং ডেরিক হোয়াইট ১৭ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন।

অন্যদিকে, নিক্সের হয়ে জ্যালেন ব্রুনসন ২৭ এবং কার্ল-অ্যান্টনি টাউনস ২১ পয়েন্ট ও ১৫ রিবাউন্ড করেন। তবে, সেল্টিক্সের সামনে সুবিধা করতে পারেনি তারা। নিক্সের খেলোয়াড়দের মধ্যে থ্রি-পয়েন্ট শ্যুটিংয়ে দুর্বলতা ছিল, যেখানে সেল্টিক্স ২০টি থ্রি-পয়েন্ট শট সফলভাবে সম্পন্ন করে।

ম্যাচের শুরুতে সেল্টিক্স যেন উড়ন্ত সূচনা করে। প্রথম কোয়ার্টারে তারা ৩৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে, যা প্লে-অফের ইতিহাসে তাদের সর্বোচ্চ। খেলার শুরুতেই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলে দেয় তারা। খেলোয়াড়দের এই আগ্রাসী মনোভাব পুরো ম্যাচে বজায় ছিল।

সেল্টিক্সের এই জয়ে সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সোমবার চতুর্থ ম্যাচে জয় পেলে তারা সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে। এরপর বুধবার পঞ্চম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে বোস্টনে।

নিক্স গত বছরও ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও এই রাউন্ডে হেরে গিয়েছিল। এবারও তাদের সামনে সেই একই চ্যালেঞ্জ।

খেলার ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, সেল্টিক্সের খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছে। বিশেষ করে, টেইটাম ও প্রিটচার্ডের পারফরম্যান্স ছিল অসাধারণ। অন্যদিকে, নিক্সের খেলোয়াড়দের মধ্যে ব্রুনসন চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, দলের অন্যরা সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেনি।

তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *