কোल्डপ্লে কনসার্টে ভাইরাল ভিডিও: সিইও-এর চাকরি গেল!

বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী কোল্ডপ্লের কনসার্টে ধারণ করা একটি ভিডিও ঘিরে বিতর্কের জেরে পদত্যাগ করলেন একটি প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। সিনসিনাটি ভিত্তিক অ্যাস্ট্রোনোমার ইনকর্পোরেটেড নামক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সিইও অ্যান্ডি ব্যারন শনিবার তার পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তাদের কর্মীরা যে মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অ্যাস্ট্রোনোমার সেই নীতি মেনেই চলে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোম্পানির কর্মকর্তাদের কাছ থেকে তাদের আচরণ ও জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখার প্রত্যাশা করা হয়, যা সম্প্রতি পূরণ হয়নি।

ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন বুধবার ম্যাসাচুসেটসের ফক্সবরোর জillette স্টেডিয়ামে কনসার্টের সময় ব্যারন এবং কোম্পানির প্রধান কর্মী কর্মকর্তা ক্রিস্টিন ক্যাবটের একটি ভিডিও বিশাল পর্দায় প্রদর্শিত হয়। কনসার্টে উপস্থিত দর্শকদের মধ্যে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী হয়।

কোল্ডপ্লের প্রধান শিল্পী ক্রিস মার্টিন মজা করে দর্শকদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ক্যামেরায় যাদের দেখা যাচ্ছে, “হয় তারা প্রেম করছে, না হয় খুব লাজুক”।

ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সক্ষম হন। এর পরই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

ঘটনার একদিন আগে কোম্পানি জানিয়েছিল, ব্যারনকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং পরিচালনা পর্ষদ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ব্যারন পদত্যাগ করার পর, অ্যাস্ট্রোনোমারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পণ্য কর্মকর্তা পিট ডি’জয়কে অন্তর্বর্তীকালীন সিইও হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।

সাধারণত, কনসার্ট বা এই ধরনের অনুষ্ঠানে আসা দর্শকদের ছবি তোলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়। অনেক কনসার্ট ভেন্যুতে দর্শকদের জানানো হয় যে, তাদের ছবি বা ভিডিও ধারণ করা হতে পারে। এমনকি, কনসার্টের সময় ছবি তোলার জন্য অনুমতিও নেওয়া হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আজকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো দ্রুত ছড়িয়ে পরে। প্রযুক্তির উন্নতির ফলে, ভাইরাল হওয়া কোনো ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করাও এখন অনেক সহজ।

তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *