চ্যাম্পিয়নশিপে অবনমনের ঝুঁকিতে: কঠিন লড়াইয়ে কয়েকটি ক্লাব।
ফুটবল মাঠের উত্তেজনা যেন কখনোই শেষ হয় না। একদিকে যখন দলগুলো শিরোপার জন্য লড়ছে, অন্য দিকে কয়েকটি ক্লাবের কাছে প্রতিটি ম্যাচ যেন টিকে থাকার লড়াই।
সম্প্রতি, ইংলিশ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের কয়েকটি ক্লাবের অবনমনের (relegation) সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। এই দলগুলোর মধ্যে আছে স্টোক সিটি, ডার্বি কাউন্টি, প্রেসটন নর্থ এন্ড, লুটন টাউন এবং হাল সিটি।
চ্যাম্পিয়নশিপ, যা ইংলিশ ফুটবলের দ্বিতীয় স্তরের লীগ, এখানে প্রতিটি দলেরই প্রধান লক্ষ্য থাকে হয় প্রিমিয়ার লিগে যাওয়া, না হয় টিকে থাকা। কিন্তু এই মুহূর্তে কয়েকটি ক্লাবের জন্য দুঃসময় চলছে।
কার্ডিফ সিটি এবং প্লেমাউথ এরই মধ্যে লীগ ওয়ানে (League One) নেমে গেছে, যা তাদের সমর্থকদের জন্য চরম হতাশার কারণ।
খেলার মাঠের এই অনিশ্চয়তার কারণ অনেক। দলবদলের বাজারে খেলোয়াড় কেনা-বেচা থেকে শুরু করে ম্যানেজারের পরিবর্তন, মাঠের বাইরের নানা সমস্যা – সবকিছুই একটি দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে।
খেলোয়াড়দের বেতন পরিশোধে বিলম্বের মতো ঘটনাও দলের মনোবলে খারাপ প্রভাব ফেলে।
উদাহরণস্বরূপ, হাল সিটির কথা বলা যেতে পারে। দলের ম্যানেজার রুবেল সেলেস খেলোয়াড়দের ওপর মানসিক চাপ কমাতে তাদের একটি অনুষ্ঠান বাতিল করেছিলেন।
কারণ, দলের পারফরম্যান্স ভালো না থাকলে উৎসবের মেজাজে থাকা কঠিন।
অন্যদিকে, কিছু দলের পারফরম্যান্স বেশ ভালো। বার্নলি এবং লিডস ইউনাইটেড শীর্ষস্থানের জন্য লড়ছে।
প্লে-অফের দৌড়েও অনেকগুলো দল আছে, যারা প্রিমিয়ার লিগে খেলার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু অবনমনের ঝুঁকিতে থাকা দলগুলোর জন্য প্রতিটি ম্যাচ যেন এক কঠিন পরীক্ষা।
ডার্বি কাউন্টি এবং লুটন টাউনের মতো দলগুলো সাম্প্রতিক সময়ে ভালো ফল করেছে। এমনকি, কঠিন পরিস্থিতিতেও খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
লুটন টাউনের খেলোয়াড় টমাস কামিনস্কি তার বাবার মৃত্যুর তিন দিন পরেই মাঠে নেমেছিলেন এবং দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
তবে, ফুটবলে উত্থান-পতন খুবই স্বাভাবিক। গত মৌসুমে লুটন টাউন প্রিমিয়ার লিগে খেলার জন্য লড়েছিল, আবার ডার্বি কাউন্টি রানার্স-আপ হয়ে সরাসরি প্রমোশন পেয়েছিল।
এই মৌসুমে, পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এই মুহূর্তে, স্টোক সিটি, ডার্বি, প্রেসটন, লুটন এবং হাল সিটির সমর্থকরা তাদের দলের ভালো ফলাফলের জন্য প্রার্থনা করছে। কারণ, একটি খারাপ ফল তাদের অবনমনের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
ফুটবল মাঠের এই কঠিন লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
তথ্য সূত্র: The Guardian