যুক্তরাজ্যের ডিচেস অব ইয়র্ক সারা ফার্গুসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বেশ কয়েকটি দাতব্য সংস্থা। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ইমেইলে তিনি মৃত যৌন অপরাধী জেফরি এপস্টিনকে ‘পরম বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এই ঘটনার জের ধরেই দাতব্য সংস্থাগুলো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০১১ সালে পাঠানো ওই ইমেইলে সারা ফার্গুসন, যিনি ডিউক অব ইয়র্ক হিসেবেও পরিচিত, এপস্টিনকে লেখেন, তিনি তার এবং পরিবারের প্রতি সবসময় “অটল বন্ধু” ছিলেন। এর আগে, ২০০৮ সালে ফ্লোরিডায় যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন এপস্টিন।
এই ঘটনার কয়েক সপ্তাহ পরেই ডিচেস অব ইয়র্ক এই ইমেইলটি পাঠান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘সান অন সানডে’ পত্রিকার বরাত দিয়ে জানা যায়, ডিচেস অব ইয়র্ক এপস্টিনকে ক্ষমা চেয়ে ওই ইমেইলটি পাঠিয়েছিলেন। এর আগে তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি আর কখনও এপস্টিনের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন না।
দাতব্য সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ডিচেস অব ইয়র্কের এই ধরনের মন্তব্য তাদের উদ্বেগের কারণ। তারা মনে করে, এমন একজন ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা তাদের জন্য উপযুক্ত নয়।
ইতিমধ্যে, নাতাশা এলার্জি রিসার্চ ফাউন্ডেশনসহ অন্তত পাঁচটি দাতব্য সংস্থা জানিয়েছে, ডিচেস অব ইয়র্ক তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আর থাকতে পারবেন না। ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নাদিম ও তানিয়া এডনান-ল্যাপারউস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘জেফরি এপস্টিনের সঙ্গে সারা, ডিচেস অব ইয়র্কের যোগাযোগের খবর আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি আমাদের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন, তবে সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে তার এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থাকা উচিত হবে না।’
এই ঘটনার আগে, ডিচেস অব ইয়র্কের সাবেক স্বামী প্রিন্স অ্যান্ড্রুকেও একই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল। এপস্টিনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে ২০২২ সালে প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে রাজকীয় উপাধি ও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও দাতব্য সংস্থাও তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখেছে। এই ঘটনার মাধ্যমে আবারও সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নৈতিক দায়বদ্ধতা এবং তাদের কাজকর্মের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন