যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্ক। ওরেম শহরের ইউটাহ ভ্যালি ইউনিভার্সিটিতে এই ঘটনা ঘটে।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, একজন ব্যক্তি গুলি করে পালিয়ে যায় এবং তাকে আটকের জন্য চেষ্টা চলছে।
খবর অনুযায়ী, কার্ক যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চত্বরে উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে কথা বলছিলেন, তখনই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হলেও, শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয় এবং হামলাকারীকে ধরতে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়।
তদন্তকারীরা হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন এবং জনসাধারণের কাছে তাকে শনাক্ত করতে সাহায্য চেয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, হামলাকারীর সন্ধানে তারা বিভিন্ন সূত্র ধরে কাজ করছেন।
কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামলাকারীর সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে। বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকার সমান।
চার্লি কার্ক ছিলেন একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং তরুণ রিপাবলিকান ভোটারদের মধ্যে তার বেশ প্রভাব ছিল। তিনি প্রায়ই বিভিন্ন সামাজিক ইস্যুতে তার মতামত তুলে ধরতেন এবং কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে তার সরব উপস্থিতি ছিল।
তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের রাজনৈতিক নেতারা এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়েছেন।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, কার্ককে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম’ দেওয়া হবে।
ঘটনার দিন কার্কের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল এবং তার এই সফরকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। ঘটনার সময় কিছু ছাত্র-ছাত্রী আতঙ্কে ক্লাসরুমে আশ্রয় নেয় এবং দরজা বন্ধ করে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করে।
বর্তমানে, পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং হামলাকারীর খোঁজে তৎপরতা চালাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস