যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি হত্যাকাণ্ডের জেরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। রক্ষণশীল রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কির্কের হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে নানা ভিত্তিহীন দাবি এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বের উদ্ভব হয়েছে, যা উদ্বেগের কারণ।
গত ১০ই সেপ্টেম্বরের এই হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে অভিযুক্ত টাইলার রবিনসনকে নিয়ে ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, রবিনসন ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক অথবা রিপাবলিকান দলের সদস্য। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, রবিনসনের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক ছিল না। এমনকি তিনি কোনো নির্বাচনেও ভোট দেননি।
এছাড়াও, রবিনসনকে একটি উগ্র ডানপন্থী, শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হিসেবেও চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এমনকি তার হ্যালোউইন পোশাক নিয়েও অনেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন।
অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু ছবি ব্যবহার করে দাবি করা হচ্ছে যে রবিনসন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে, ছবিগুলো ছিল কারসাজি করা এবং তাতে রবিনসনের আসল পোশাক পরিবর্তন করে রাজনৈতিক বার্তা যোগ করা হয়েছিল।
এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরও অনেকের নাম জড়ানো হয়েছে, যাদের মধ্যে ইসরায়েলের নামও রয়েছে। তবে এসব অভিযোগের স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ধরনের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর, অনেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহ করে উপস্থিত কয়েকজন সাধারণ মানুষের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এদের মধ্যে একজন ছিলেন চার্লি কির্কের বন্ধু, যিনি ঘটনার সময় তার সঙ্গেই ছিলেন।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, কোনো ঘটনার পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সব তথ্য যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি। কোনো তথ্য শেয়ার করার আগে, তার সত্যতা নিশ্চিত করা উচিত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন