হারানো গৌরব ফেরাতে: ইংল্যান্ড দলের কোচে শার্লট!

ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিলেন প্রাক্তন অধিনায়ক শার্লট এডওয়ার্ডস। সম্প্রতি অ্যাশেজ সিরিজে দলের ভরাডুবির পরেই বরখাস্ত করা হয়েছিল কোচ জন লুইসকে। তার স্থলাভিষিক্ত হলেন এক সময়ের কিংবদন্তি এই খেলোয়াড়।

ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ECB) দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যেই সব কিছু চূড়ান্ত করে ফেলেছে। খেলোয়াড় হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছেন শার্লট। এর মধ্যে ১০ বছর দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি।

শুধু খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, কোচিংয়েও রয়েছে তাঁর ঈর্ষণীয় অভিজ্ঞতা। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একাধিক ট্রফি জিতেছেন তিনি। সাউদার্ন ভাইপার্স, সাউদার্ন ব্রেভ এবং মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মত দলের কোচ হিসেবেও তিনি সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছেন।

২০২২ সালে যখন জন লুইসকে কোচ হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল, তখনও এই পদের জন্য আলোচনায় ছিলেন শার্লট। তবে সে সময় তিনি ব্যক্তিগত কারণে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। তবে এবার তেমনটা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় ১৬-০ ব্যবধানে হারের পর তিনি নিজেই পুরনো দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

আগামী ২১শে মে কেন্টারবারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তাঁর কোচিংয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। অ্যাশেজে হারের কারণে অধিনায়ক হিদার নাইটকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই নতুন অধিনায়ক বাছাও এখন সময়ের অপেক্ষা।

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত শার্লট এডওয়ার্ডস বলেন, “আমি আবারও ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের নেতৃত্বের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। আমি এই দলকে সাফল্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে মুখিয়ে আছি। আবারও দেশের জার্সিতে ‘থ্রি লায়নস’ পরে নেতৃত্ব দেওয়াটা আমার কাছে অনেক বড় সম্মানের। ১০ বছর ধরে আমি ইংল্যান্ড দলের অধিনায়ক ছিলাম এবং এই দলের ঐতিহ্য নিয়ে আমি সবসময় গর্বিত। আমাদের দলে দারুণ প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে এবং আমি তাদের সঙ্গে কাজ করতে, ব্যক্তিগত এবং দলগতভাবে তাদের উন্নতি ঘটাতে আগ্রহী।

তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের সামনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ হোম সিরিজ রয়েছে এবং এর পরেই রয়েছে ভারতে আইসিসি মহিলা বিশ্বকাপ। আগামী গ্রীষ্মে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেসে প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে মহিলা ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। আমি ট্রফি জিততে এবং দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।”

ECB-র মহিলা ক্রিকেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্লেয়ার কনার বলেন, “কোচের পদের জন্য আমরা যখন যোগ্যতার মাপকাঠি তৈরি করি, তখন দ্রুতই স্পষ্ট হয়ে যায় যে শার্লট এই পদের জন্য সেরা প্রার্থী। তাঁর অভিজ্ঞতা, আবেগ এবং দক্ষতা রয়েছে এবং তিনি এই দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যেতে পারবেন। একজন খেলোয়াড় হিসেবে তিনি যেমন সফল ছিলেন, কোচ হিসেবেও তাঁর সাফল্য ঈর্ষণীয়।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *