যুক্তরাষ্ট্রের দুটি বৃহৎ কেবল কোম্পানি, চার্টার কমিউনিকেশনস (যা সাধারণত স্পেকট্রাম নামে পরিচিত) এবং কক্স কমিউনিকেশনস একীভূত হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এই চুক্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার।
ডিজিটাল যুগে অনলাইন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, ডিজনি এবং এইচবিও ম্যাক্স-এর মতো পরিষেবাগুলি বর্তমানে কেবল টিভি ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কক্স কমিউনিকেশনস বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম কেবল টিভি সরবরাহকারী, যাদের গ্রাহক সংখ্যা ৬৫ লক্ষেরও বেশি। এই গ্রাহকদের মধ্যে ডিজিটাল কেবল, ইন্টারনেট, টেলিফোন এবং হোম সিকিউরিটি ব্যবহারকারী রয়েছে।
অন্যদিকে, চার্টার কমিউনিকেশনস-এর গ্রাহক সংখ্যা ৩২ মিলিয়নের বেশি, যারা আমেরিকার ৪১টি রাজ্যে তাদের পরিষেবা গ্রহণ করে।
কেবল টিভি শিল্পে ‘কর্ড কাটিং’-এর প্রবণতা বাড়ছে। অর্থাৎ, গ্রাহকরা কেবল টিভির পরিবর্তে অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলিতে ঝুঁকছে।
এর ফলে কেবল টিভি কোম্পানিগুলো গ্রাহক হারাচ্ছে এবং তাদের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে নতুন কৌশল গ্রহণ করতে হচ্ছে।
এই চুক্তির অংশ হিসেবে, চার্টার কমিউনিকেশনস কক্স কমিউনিকেশনস-এর বাণিজ্যিক ফাইবার, আইটি ও ক্লাউড বিষয়ক ব্যবসা অধিগ্রহণ করবে। কক্স এন্টারপ্রাইজেস তাদের আবাসিক কেবল ব্যবসাটি চার্টার হোল্ডিংসের একটি বিদ্যমান সাবসিডিয়ারিতে যুক্ত করবে।
চুক্তির পর সম্মিলিত কোম্পানির প্রায় ২৩ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা থাকবে কক্স এন্টারপ্রাইজেসের হাতে।
এই একত্রীকরণ কার্যকর করতে চার্টার কমিউনিকেশনস-এর শেয়ারহোল্ডার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
এই চুক্তিতে ১ হাজার ২৬০ কোটি ডলার ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। একীভূত হওয়ার এক বছরের মধ্যে নতুন কোম্পানিটি কক্স কমিউনিকেশনস নামে পরিচিত হবে।
কোম্পানিটির সদর দপ্তর কানেকটিকাটের স্ট্যামফোর্ডেই থাকবে এবং জর্জিয়ার আটলান্টায় কক্সের একটি উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি বজায় থাকবে।
চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর, চার্টারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ক্রিস উইনফ্রে সম্মিলিত কোম্পানির প্রেসিডেন্ট ও সিইও হবেন।
কক্সের সিইও ও চেয়ারম্যান অ্যালেক্স টেইলর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। ১৩ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদে কক্সের দু’জন পরিচালক বহাল থাকবেন।
চার্টারের অংশীদার অ্যাডভান্স/নিউহাউস তাদের দুজন পরিচালককে ধরে রাখবে।
এই চুক্তির মাধ্যমে কেবল টিভির বাজারে পরিবর্তন আসার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, যা ডিজিটাল বিনোদন জগতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস
 
                         
                         
                         
                         
                         
                         
				
			 
				
			 
				
			 
				
			