ছিঃ! সম্পর্ক ভাঙা নিয়ে নতুন শো, ছিটিং: সবচেয়ে খারাপ!

নেটফ্লিক্স-এর নতুন ধারাবাহিক ‘চিট: আনফিনিশড বিজনেস’: সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে এক ভিন্ন স্বাদের অনুষ্ঠান।

বর্তমান বিশ্বে, বিনোদনের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো টেলিভিশন এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলি। নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, এবং ডিজনি প্লাস-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলি দর্শকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান নিয়ে আসে, যার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে থাকে রিয়েলিটি শো।

এই ধরনের অনুষ্ঠানগুলোতে দর্শকদের আগ্রহ থাকে প্রচুর, কারণ তারা মানুষের জীবন এবং সম্পর্কের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানতে পারে। সম্প্রতি, নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে একটি নতুন রিয়েলিটি শো, যার নাম ‘চিট: আনফিনিশড বিজনেস’।

অনুষ্ঠানটির মূল ধারণা হলো, এমন আটজন প্রাক্তন যুগলকে নিয়ে আসা যারা অতীতে একে অপরের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন অথবা সম্পর্কে চিটিংয়ের শিকার হয়েছেন। তাদের একটি বিলাসবহুল ভিলাতে একত্রিত করা হয়, যেখানে তারা তাদের অতীতের সম্পর্কগুলো নতুন করে পর্যালোচনা করার সুযোগ পান।

এই অনুষ্ঠানে, প্রতিযোগীদের সম্পর্কগুলো হয় পুনর্মিলনের দিকে যাবে, অথবা তারা ঝগড়া করবে, অথবা নতুন করে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বে।

অনুষ্ঠানটির প্রধান আকর্ষণ হলেন উপস্থাপক আমান্ডা হোল্ডেন, যিনি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে প্রতিযোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের অনুভূতিগুলো দর্শকদের কাছে তুলে ধরেন। এছাড়াও, সম্পর্ক বিষয়ক পরামর্শদাতা হিসেবে রয়েছেন পল সি ব্রুনসন।

তিনি প্রতিযোগীদের সম্পর্কগুলো ভালো করতে সহায়তা করেন এবং তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দিকনির্দেশনা দেন।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, ‘চিট: আনফিনিশড বিজনেস’ অনুষ্ঠানটি দর্শক ও সমালোচকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। কেউ কেউ এর আকর্ষণীয় ধারণার প্রশংসা করেছেন, আবার কারো কারো মতে, অনুষ্ঠানটি একঘেয়ে এবং ঘটনার ঘনঘটা কম।

সমালোচকরা মনে করেন, এই ধরনের অনুষ্ঠানে সম্পর্কের গভীরতা এবং জটিলতাগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি।

এই ধরনের রিয়েলিটি শো-এর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষের ব্যক্তিগত জীবন এবং সম্পর্কের বিভিন্ন দিক দর্শকদের সামনে তুলে ধরা। তবে, অনেক সময় দেখা যায়, নির্মাতারা অনুষ্ঠানের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য কিছু বাড়াবাড়ি করেন, যা দর্শকদের মধ্যে বিতর্কের জন্ম দেয়।

‘চিট: আনফিনিশড বিজনেস’ সেই অর্থে কতটা সফল, তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে দর্শকদের রুচি এবং পছন্দের উপর।

মোটকথা, নেটফ্লিক্সের এই নতুন ধারাবাহিকটি সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং জটিলতা নিয়ে একটি ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে এসেছে, যা দর্শকদের মধ্যে আলোচনা তৈরি করেছে। অনুষ্ঠানটি যারা দেখছেন, তারা হয়তো তাদের ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পাচ্ছেন, অথবা নতুন কিছু ধারণা তৈরি করতে পারছেন।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *