বিখ্যাত কমেডি জুটি চিচ এবং চং-এর প্রথম সিনেমা ‘আপ ইন স্মোক’-এর বক্স অফিস সাফল্যের পেছনে লুকিয়ে ছিল এক বেদনাদায়ক গল্প। সত্তরের দশকে এই জুটির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী, কিন্তু তাদের প্রথম সিনেমা থেকে আয়ের ক্ষেত্রে তারা বিশাল ক্ষতির শিকার হয়েছিলেন।
সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া তথ্যচিত্র ‘চিচ অ্যান্ড চং’স লাস্ট মুভি’-তে তাদের জীবনের এই দিকটি আবার তুলে ধরা হয়েছে।
‘আপ ইন স্মোক’ মুক্তি পাওয়ার পর বিশ্বজুড়ে ১০৪ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যবসা করে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ হাজার ১৪০ কোটি টাকার সমান। সিনেমাটি এতটাই সফল হয়েছিল যে, এটি তাদের খ্যাতি আরও বাড়িয়ে দেয়।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো, সিনেমার এই বিপুল সাফল্যের পরও চিচ এবং চং দুজনেই ছিলেন কার্যত নিঃস্ব।
আসলে, সিনেমার শুরুতে তারা যে চুক্তিতে সই করেছিলেন, সেটি ছিল তাদের জন্য খুবই খারাপ একটি চুক্তি। চুক্তি অনুযায়ী, সিনেমার লাভের মাত্র ১০ শতাংশ পাওয়ার কথা ছিল তাদের।
সেই সময় তারা সিনেমাটি লিখে, পরিচালনা করে এবং অভিনয়ও করেছিলেন। কিন্তু এত কিছুর বিনিময়ে দু’জনের প্রত্যেকে মাত্র ২৫,০০০ ডলার করে পেয়েছিলেন, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৭ লাখ টাকার মতো।
চিচ এবং চংয়ের মতে, তাদের আয়ের প্রধান উৎস ছিল লাইভ পারফর্মেন্স বা সরাসরি অনুষ্ঠান। ‘আপ ইন স্মোক’-এর শুটিংয়ের সময় তারা সেই সব অনুষ্ঠান করা বন্ধ করে দেন।
ফলে তাদের হাতে কোনো টাকা ছিল না। চুক্তি নিয়ে তারা যখন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন, তখন বুঝতে পারেন, তাদের সঙ্গে কতটা বড় প্রতারণা করা হয়েছে।
পরবর্তীতে, তারা তাদের দ্বিতীয় সিনেমা ‘চিচ অ্যান্ড চং’স নেক্সট মুভি’-র জন্য চুক্তিটি নতুন করে তৈরি করেন। সেই সময় তারা প্রত্যেকে অগ্রিম ১ মিলিয়ন ডলার করে পান।
এরপর তারা আরও চারটি সিনেমায় একসঙ্গে কাজ করেন।
চিচ এবং চং-এর এই ঘটনা শিল্পীদের অধিকার এবং তাদের প্রাপ্য সম্মানী নিয়ে নতুন করে ভাবার অবকাশ তৈরি করে।
তথ্যসূত্র: পিপল