চিচ ও চং: ভাঙনের কারণ নিয়ে মুখ খুললেন কমেডি কিংবদন্তীরা!

বিখ্যাত কমেডি জুটি চিচ মারিন ও টমি চং-এর বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে নির্মিত হয়েছে নতুন তথ্যচিত্র ‘চিচ অ্যান্ড চং’স লাস্ট মুভি’। সত্তরের দশকে এই জুটির জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। কিন্তু পর্দার পেছনের গল্পটা ছিল বেশ জটিল।

হাসি-ঠাট্টার আড়ালে লুকিয়ে ছিল তাদের সম্পর্কের ফাটল।

১৯৭১ সালে চিচ ও চং একসঙ্গে কাজ শুরু করেন। এরপর বেশ কয়েকটি ছবিতে তারা একসঙ্গে কাজ করেছেন, যা তাদের জনপ্রিয়তাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। তথ্যচিত্রে তাদের সেই ভাঙনের কারণগুলো তুলে ধরা হয়েছে।

মূলত, কাজের ধরনের বিভাজন এবং কে বেশি গুরুত্বপূর্ণ, এই বিষয়গুলো নিয়েই তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

চিচ মারিনের মতে, তাদের ছবিগুলোতে চংয়ের পরিচালক হিসেবে বেশি খ্যাতি পাওয়ার বিষয়টি ছিল একটি বড় সমস্যা।

অন্যদিকে, চংয়ের ভাষ্য ছিল, তিনি ছিলেন ছবির মূল আকর্ষণ। তাই পরিচালক হিসেবে তার পরিচিতি পাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল।

তাদের মধ্যেকার এই দ্বন্দ্বে চিচ সবসময় নিজেকে আড়ালে অনুভব করতেন।

তথ্যচিত্রে পুরনো একটি সাক্ষাৎকারে চিচকে বলতে শোনা যায়, “আমার মনে হয়, ছবিতে আমি যতটুকু কাজ করেছি, চংও ঠিক ততটুকুই করেছেন।

কিন্তু তাকে সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি।” এরপর তাদের কথোপকথনে দুজনের মধ্যে মতের অমিল স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

তাদের এই বিভেদই একসময় তাদের আলাদা করে দেয়।

১৯৮৪ সালে ‘চিচ অ্যান্ড চং’স দ্য কোরসিকান ব্রাদার্স’ মুক্তির এক বছর পর এই জুটির পথ আলাদা হয়ে যায়।

এরপর চিচ বিভিন্ন টিভি সিরিজে কাজ করেছেন। অন্যদিকে, চং অভিনয় করেছেন বিভিন্ন টিভি শো এবং রিয়েলিটি শোতে।

তাদের বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে চিচ মারিন এবং টমি চংয়ের মধ্যে এখনও মতভেদ রয়েছে।

তাদের সম্পর্কের এই টানাপোড়েন তাদের প্রায় ৫৫ বছরের পথচলার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।

তথ্য সূত্র: পিপল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *