ছেলেটির স্টাইল পরিবর্তন, মা-এর কপালে চিন্তার ভাঁজ!

শিরোনাম: ছেলের রুচি পরিবর্তনে চিন্তিত মা: আধুনিকতার সাথে কি আপোস করতে পারবে প্রজন্ম?

বর্তমান যুগে, সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে বাবা-মায়ের উদ্বেগের শেষ নেই। ছেলে বা মেয়ের ভালো একটি চাকরি হোক, সামাজিক প্রতিষ্ঠা আসুক – এমনটাই চান অভিভাবকেরা।

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী এক মায়ের একটি অনলাইন পোস্ট সেই পরিচিত উদ্বেগের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছে। “Mumsnet” নামক একটি ওয়েবসাইটে তিনি তার ২২ বছর বয়সী ছেলের জীবনযাত্রায় আসা পরিবর্তন নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা প্রকাশ করেছেন।

ছেলেটির রুচি এবং পোশাকে এসেছে কিছু নতুনত্ব। মা লক্ষ্য করেছেন, ছেলেটি এখন শিল্পকলার প্রতি বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছে।

বন্ধুদের সাথে মিলে একটি পডকাস্ট শুরু করার পরিকল্পনা করছে সে, যা মায়ের কাছে খানিকটা অপ্রত্যাশিত। এছাড়াও, ছেলের লম্বা চুল এবং ব্যাকব্রাশ করা “মাললেট” স্টাইল নিয়ে তিনি বেশ উদ্বিগ্ন।

এমনকি, শরীরে ট্যাটু করার আগ্রহও প্রকাশ করেছে সে, যা মায়ের অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

মা তার পোস্টে লিখেছেন, “আমি সবসময় চেয়েছি আমার ছেলে একজন নির্ভরযোগ্য এবং দায়িত্বশীল মানুষ হোক। কিন্তু তার এই পরিবর্তনে আমি শঙ্কিত।

সে কি পারবে একটি স্থিতিশীল জীবন গড়তে?” তিনি আরও যোগ করেন, “আমি মনে করি, শিল্পের পথে হেঁটে যাওয়া বেশ কঠিন। আমি চাই না, সে এমন কোনো ট্যাটু করুক যা তার ভবিষ্যতের জন্য ভালো না।”

পোস্টটি অনলাইনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বেশিরভাগ মন্তব্যকারী মায়ের উদ্বেগকে সমর্থন করেননি।

তারা বরং পরামর্শ দিয়েছেন, ছেলেকে নিজের মতো করে জীবন গড়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। কারণ, একজন মানুষের রুচি এবং পছন্দের স্বাধীনতা থাকা জরুরি।

অনেকেই মনে করেন, বর্তমান যুগে “মাললেট” বা ট্যাটুর মতো বিষয়গুলো খুব স্বাভাবিক।

আলোচনায় অংশ নেওয়া অনেক ব্যবহারকারী তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তাদের ছেলেমেয়েরাও একসময় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা হয়তো তাদের পছন্দ হয়নি, কিন্তু তারা সন্তানদের সেই স্বাধীনতা দিয়েছেন।

কারণ, তারা বিশ্বাস করেন, জীবনের এই পর্যায়ে এসে ছেলেমেয়েরা নিজেদের খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আধুনিক সমাজে ছেলেমেয়েদের উপর বাবা-মায়ের প্রত্যাশার চাপ বাড়ছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

তাই, সন্তানদের ভালো-মন্দ বুঝিয়ে তাদের নিজস্ব পথে চলতে উৎসাহিত করা উচিত।

তথ্য সূত্র: পিপলস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *