**চেলসির ঐতিহাসিক জয়, কনফারেন্স লিগ চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তুলল ক্লাবটি**
ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলে নতুন ইতিহাস গড়ল চেলসি। বুধবার রাতে পোল্যান্ডের ভ্রোখ্লাভে অনুষ্ঠিত কনফারেন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে শিরোপা জয়লাভ করে তারা। খেলার প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে এই জয় নিশ্চিত করে চেলসি।
ম্যাচের শুরুতে অবশ্য কিছুটা ছন্দহীন দেখাচ্ছিল চেলসিকে। রিয়াল বেতিসের আক্রমণভাগের সামনে তারা ছিল অনেকটা অসহায়। ম্যাচের দশম মিনিটে আবদে এজালজুলির গোলে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি।
তবে বিরতির পর যেন অন্য রূপে ফেরে চেলসি। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে দেখা যায় দারুণ আত্মবিশ্বাস। একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে তারা।
দ্বিতীয় half-এ চেলসির হয়ে প্রথম গোলটি করেন এনজো ফার্নান্দেজ। এরপরই জ্বলে ওঠেন দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় কোল পালমার। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ত ক্রস থেকে পাওয়া সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিকোলাস জ্যাকসন দলের লিড ২-১ করেন।
এরপর জাডন স্যানচোর অসাধারণ একটি গোল এবং ময়েসেস কাইসেদোর শেষ মুহূর্তের গোলে ৪-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত হয় চেলসির।
এই জয়ে নতুন এক মাইলফলক স্পর্শ করল চেলসি। তারা ইউরোপের তিনটি প্রধান শিরোপা – চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ এবং কনফারেন্স লিগ জেতার বিরল কৃতিত্ব অর্জন করেছে।
চেলসির এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত দলের অধিনায়ক রিস জেমস ম্যাচ শেষে জানান, “আমরা জানতাম, ম্যাচটি কঠিন হতে চলেছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছি এবং চারটি গোল করতে পেরেছি।”
কনফারেন্স লিগের শিরোপা জয় চেলসির তরুণ দলের জন্য আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভালো খেলতে আত্মবিশ্বাস যোগাবে। ক্লাবটি এখন ইউরোপের সেরা দলগুলোর সঙ্গে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে প্রস্তুত।
তথ্য সূত্র: সিএনএন