ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (Premier League) সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া একটি ম্যাচে চেলসিকে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছে ব্রেন্টফোর্ড। ব্রেন্টফোর্ডের মাঠে অনুষ্ঠিত এই খেলায় চেলসির কোচ এনজো মারেশকা দলের গুরুত্বপূর্ণ কিছু খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়ে একাদশ সাজিয়েছিলেন।
তবে তাঁর এই কৌশল মাঠে খুব একটা কাজে আসেনি, বরং দলটির আক্রমণভাগে দেখা গেছে দুর্বলতা।
খেলা শুরুর আগে অনেকেই ধারণা করেছিলেন, চেলসি হয়তো সহজেই জয় পাবে। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা যায় ভিন্ন চিত্র।
ব্রেন্টফোর্ড তাদের রক্ষণভাগকে সুসংহত রেখেছিল এবং মাঝেমধ্যে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে চেলসির রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। যদিও ব্রেন্টফোর্ডও গোলের সুযোগ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
চেলসির হয়ে এই ম্যাচে কোয়েন পালমার, পেদ্রো নেতো এবং নিকোলাস জ্যাকসনকে শুরুর একাদশে দেখা যায়নি। সাধারণত দলের আক্রমণভাগের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে তাঁরা পরিচিত।
তাঁদের পরিবর্তে অন্য খেলোয়াড়দের খেলানোর সিদ্ধান্তটি কার্যত ব্যর্থ হয়। চেলসির আক্রমণভাগে দেখা যায় সমন্বয়হীনতা, যা তাদের কাঙ্ক্ষিত গোল থেকে দূরে রাখে।
ম্যাচে ব্রেন্টফোর্ড বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করেছিল, কিন্তু তারা ফিনিশিংয়ের দুর্বলতার কারণে গোল করতে ব্যর্থ হয়। অন্যদিকে, চেলসির খেলোয়াড়দের মধ্যে কাইরেন ডিউসবারি-হল কিছুটা ভালো খেললেও, ক্রিস্টোফার এনকুনকু-কে নিষ্প্রভ মনে হয়েছে।
দ্বিতীয় আর্ধে, এনজো মারেশকা জ্যাকসনকে মাঠে নামান। এর ফলে খেলার ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসে এবং ব্রেন্টফোর্ডের রক্ষণ চাপে পরে যায়।
জ্যাকসন মাঠে নামার পর চেলসি আক্রমণে ধার বাড়াতে সক্ষম হয়। তবে ব্রেন্টফোর্ডের দৃঢ় রক্ষণভাগের কারণে তারা গোলের দেখা পায়নি।
ম্যাচ শেষে, ফলাফল ছিল ০-০। এই ড্রয়ের ফলে চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে গেছে।
এখন দেখার বিষয়, কোচ মারেশকা তাঁর খেলোয়াড় পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কতটা অনুশোচনা করেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান