চেলসি: লেগিয়া ওয়ারশকে হারিয়েও স্বস্তিতে নয়, সেমিফাইনালে অনিশ্চয়তা
ইউরোপা কনফারেন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠেছে চেলসি, তবে পোল্যান্ডের ক্লাব লেগিয়া ওয়ারশ’র বিপক্ষে ২-১ গোলে হারের পর যেন স্বস্তি নেই তাদের শিবিরে।
ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে এই অপ্রত্যাশিত ফল নিয়ে বেশ হতাশ চেলসির সমর্থকরা। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-২ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সেমিফাইনালে উঠলেও, দলের পারফরম্যান্সে অসন্তুষ্ট খোদ খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সমর্থক সবাই।
ম্যাচে চেলসির দুর্বল রক্ষণ এবং আক্রমণভাগের ব্যর্থতা স্পষ্ট ছিল। দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবও চোখে পড়েছে।
বিশেষ করে, দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছন্দহীনতা ছিল স্পষ্ট। গোল করতে ব্যর্থ হন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কোল পালমার। অন্যদিকে গোলরক্ষক ফিলিপ জর্গেনসেনের পারফরম্যান্সেও ছিল দুর্বলতা, যা দলের জয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়।
ম্যাচ শেষে দলের অধিনায়ক রিস জেমস দলের পারফরম্যান্স নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন।
আমাদের পারফরম্যান্স ভালো ছিল না। আমরা ৩-০ গোলে এগিয়ে ছিলাম, হয়তো সে কারণেই আমরা মনোযোগ হারিয়ে ফেলেছিলাম। সম্ভবত আমরা প্রতিপক্ষকে সম্মান করতে পারিনি। যদি তোমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি না নাও, তবে তার ফল ভুগতে হবে। এটা মানসিকতার উপর প্রভাব ফেলবে।
ম্যাচে টমাস পেখার্টের পেনাল্টি থেকে পাওয়া গোলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে চেলসি।
এরপর মার্ক কুকারেলা দলের হয়ে একটি গোল শোধ করেন। কিন্তু দলের রক্ষণভাগের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে লেগিয়া ওয়ারশ আরও একটি গোল করে।
চেলসির আক্রমণভাগের খেলোয়াড়রা একাধিক সুযোগ তৈরি করলেও, সেগুলো কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন।
চেলসির কোচ এনজো মারস্কার দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল।
কিন্তু এই হারে সেই স্বপ্ন অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে।
এখন তাদের নজর সেমিফাইনালে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ ড্যুরগার্ডেন।
তবে এই ধরনের দুর্বল পারফরম্যান্স অব্যাহত থাকলে, তাদের জন্য ইউরোপ সেরার মঞ্চে ফেরা কঠিন হবে বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান