ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (English Premier League) উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে চেলসি ২-০ গোলে টটেনহ্যামকে পরাজিত করে শীর্ষ চারে নিজেদের জায়গা পাকা করেছে। এনজো ফার্নান্দেজের গুরুত্বপূর্ণ গোলে জয় নিশ্চিত হয় চেলসির।
খেলার মোড় ঘোরানো কয়েকটি সিদ্ধান্ত এবং টটেনহ্যামের ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলুর প্রতি সমর্থকদের অসন্তুষ্টি ছিল ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিল চেলসি। এনজো ফার্নান্দেজের হেডে করা গোলের পর যেন জয়ের পথ খুলে যায় তাদের জন্য। খেলার প্রথমার্ধে চেলসি বেশ কয়েকটি আক্রমণ করলেও টটেনহ্যামের গোলরক্ষক গুইলিয়ামো ভিকারিও দারুণ দক্ষতায় তা রুখে দেন।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়ে যায় চেলসি।
ম্যাচে বিতর্ক তৈরি হয় ভিএআর (VAR) সিদ্ধান্তের জেরে। টটেনহ্যামের হয়ে Pape Sarr-এর একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। এছাড়াও, মোয়েসিস কাইসেদোর ওপর সারের ফাউল নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়।
এই বিষয়গুলো নিয়ে মাঠের খেলা বেশ কয়েক মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল।
ম্যাচে হারের পর টটেনহ্যামের ম্যানেজার অ্যাঞ্জ পোস্টেকোগলুর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন সমর্থকেরা। খেলার ৬৪ মিনিটে লুকাস বার্গভালের পরিবর্তে Pape Sarr-কে নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশ্যে কটূক্তি ভেসে আসে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, পোস্টেকোগলু দর্শকদের দিকে তাকিয়ে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলতে উদ্যত হন।
অন্যদিকে, চেলসির কোচ এনজো মারেস্কা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্ন দেখছেন। এই জয়ে সেই স্বপ্ন আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
টটেনহ্যামের জন্য অবশ্য পরিস্থিতি বেশ কঠিন। এই হারের পর তাদের ইউরোপা লিগে ভালো ফল করতে হবে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট।
খেলায় চেলসির হয়ে নিকোলাস জ্যাকসন এবং কোল পালমার শুরু থেকে ভালো খেলেন। তাদের আক্রমণগুলো টটেনহ্যামের রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে।
খেলা শেষে, পোস্টেকোগলু তাঁর খেলোয়াড়দের সঙ্গে দর্শকদের দিকে না গিয়ে ভিন্ন পথে মাঠ ছাড়েন। তাঁর এই আচরণ বুঝিয়ে দেয়, খেলোয়াড় এবং ম্যানেজারের মধ্যে সম্পর্ক এখন ভালো নয়।
তথ্যসূত্র: The Guardian