কান ফোঁড়ানোর অভিজ্ঞতা: এক কিশোরীর সাহসিকতা আর এক শিল্পীর মমত্ববোধ।
ছোট্ট একটি ঘটনার ভিডিও, যা সম্প্রতি আলোড়ন সৃষ্টি করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ঘটনাটি হলো, ১০ বছর বয়সী এক কিশোরীর কান ফোঁড়ানো এবং তার এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকা মানুষের প্রতিক্রিয়া।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, মেয়েটি প্রথমে কিছুটা ভীত ছিল, তবে তার পিসি, যিনি পেশাদার একজন শিল্পী, অত্যন্ত শান্ত ও সহানুভূতিশীলভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন।
এই ভিডিওটি লক্ষ লক্ষ মানুষের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে, কারণ এটি শুধু একটি শারীরিক পরিবর্তনের গল্প নয়, বরং ভয়ের বিরুদ্ধে সাহস এবং ভালোবাসার জয়ের প্রতীক।
ভিডিওর মূল চরিত্র, কিশোরীর পিসি বেলা রিফিত পেশাদার একজন শিল্পী।
তিনি শুধু কান ফোঁড়ানোই নয়, স্থায়ী মেকআপ ও সূক্ষ্ম ট্যাটুর কাজও করেন।
বেবি জানিয়েছেন, ছোটবেলায় সুঁচের ভয়ে তিনি নিজেও ভীত থাকতেন।
তাই তিনি সবসময় চেষ্টা করেন তার ক্লায়েন্টদের জন্য একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করতে।
তার মতে, এই ধরনের পরিবেশে শিশুদের ভয় অনেকটাই কমে যায়।
রিফিতের এই মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, বিশেষভাবে শিশুদের প্রতি তার যত্ন, তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছে।
রিফিত মনে করেন, শিশুদের কান ফোঁড়ানোর সময় তাদের ভয়কে সম্মান জানানো উচিত।
তিনি বলেন, “ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক, এবং তাদের অনুভূতিকে অসম্মান করা উচিত নয়।
তিনি শিশুদের সাথে অত্যন্ত ধৈর্য ধরে কথা বলেন, তাদের ভয় কমাতে সাহায্য করেন, এবং বোঝান যে তারা একা নয়।
তিনি আরও যোগ করেন, “সাহস মানে ভয়ের অনুপস্থিতি নয়, বরং ভয়ের বিরুদ্ধে জয়।
এই ঘটনার মাধ্যমে, আমরা দেখতে পাই, সামান্য একটি ঘটনার মধ্য দিয়েও কীভাবে সাহস, সহানুভূতি, এবং ভালোবাসার গুরুত্ব ফুটে উঠতে পারে।
রিফিতের এই প্রচেষ্টা প্রমাণ করে যে, শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং সহায়ক পরিবেশ তৈরি করা গেলে, তারা যেকোনো ভয়কে জয় করতে পারে।
তথ্যসূত্র: পিপল