প্রেমের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে, বান্ধবী শেলসি আর্গুদোর দেওয়া এক বিশেষ উপহারে যেন শৈশবের স্মৃতি ফিরে এল ল্যান্স ফোগেলম্যানের জীবনে।
প্রিয় মানুষের জন্য এমন উপহার খুঁজে বের করা সবসময়ই কঠিন, কিন্তু শেলসির কাছে কোনো বাধাই যেন বাধা ছিল না।
ল্যান্স ফোগেলম্যান ছোটবেলায় নাইকির একটি বিশেষ স্নিকার্সের (জুতা) জন্য বায়না ধরেছিলেন, যা ছিল তার শৈশবের স্বপ্ন।
২০০৭ সালের সেই limited-edition স্নিকার্স জোড়া খুঁজে বের করতে শেলসি যেন উঠেপড়ে লেগেছিলেন।
ইন্টারনেট জুড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর অবশেষে তিনি সফল হন।
শেলসি জানান, “আমি আসলে রাতের শিফটে কাজ করছিলাম, তাই আমার হাতে সময় ছিল।
সেই সুযোগে আমি অনলাইনে জুতা খোঁজা শুরু করি।
প্রথমে তেমন কোনো ফল না হলেও, হাল ছাড়েননি তিনি।
পিন্টারেস্ট থেকে শুরু করে গুগল, এমনকি অ্যামাজনেও তিনি খুঁজে দেখেন।
অবশেষে, কাঙ্ক্ষিত সেই জুতা জোড়া তিনি খুঁজে পান, যা ল্যান্সের বর্তমান সাইজের সঙ্গেও মিলে যায়।
এই স্নিকার্স-এর বিশেষত্ব ছিল এর পেছনের গল্প।
ছোটবেলায় ল্যান্স এই জুতা জোড়া পরার জন্য বাবা-মায়ের কাছে আবদার করেছিলেন।
শেলসি তাঁর এই স্বপ্নের কথা জানতেন।
তাই, ভালোবাসার বিশেষ দিন ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-তে ল্যান্সকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য তিনি এই উপহারটি বেছে নেন।
শেলসি আরও বলেন, “ল্যান্স খুব সাধারণ একজন মানুষ।
সামান্য কিছুতেই সে খুশি থাকে।
ল্যান্সের চোখেমুখে আনন্দের সেই মুহূর্তটি ধরা পড়েছিল টিকটকে আপলোড করা একটি ভিডিওতে।
ভিডিওতে দেখা যায়, উপহার পেয়ে ল্যান্সের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া।
ক্যাপশনে লেখা ছিল, “নয় বছর ধরে এই জুতার কথা শোনার পর, আমি ভেবেছিলাম এই ভ্যালেন্টাইনস ডে-ই তাকে এটা দেওয়ার সেরা সময়… তার শৈশবের একটা টুকরো ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুব খুশি।
শেলসির মতে, ভালোবাসার সবচেয়ে সুন্দর উপহার হল সেটাই, যা বুঝিয়ে দেয় আপনি আপনার সঙ্গীকে কতটা বোঝেন।
তিনি বলেন, “যদি আপনি আপনার সঙ্গীকে ভালো কোনো উপহার দিতে চান, তাহলে এমন কিছু খুঁজুন যা তাদের কাছে সত্যিই মূল্যবান।
কারণ, কিছু ক্ষেত্রে এটি অনেক বেশি দামি উপহারের চেয়েও বেশি কিছু।
দুজনে একসঙ্গে ভালোবাসার এক দশক পার করছেন।
এই উপহার ভবিষ্যতের জন্য ভালোবাসার এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করেছে।
শেলসির মতে, এর চেয়ে ভালো উপহার হয়তো আর হয় না।
হেসে তিনি যোগ করেন, “আমার মনে হয় এর পরে আমি তাকে হয় একটা সন্তান দিতে পারি!”
তথ্য সূত্র: পিপলস