চীনের অর্থনীতির গতি বাড়াতে দেশটির বৃহত্তম ব্যাংকগুলোতে বিশাল অঙ্কের পুঁজি সরবরাহ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি, চীনের চারটি বৃহৎ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংক তাদের মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করতে প্রায় ৫২ হাজার কোটি ইউয়ান (৭১.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) সংগ্রহ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
এই অর্থায়ন মূলত বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে।
জানা গেছে, চীনের সরকার এই ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
মূলত দেশের অর্থনীতির উন্নতি এবং ঋণ প্রদানের ক্ষমতা বাড়াতে ব্যাংকগুলোকে এই সহায়তা করা হচ্ছে।
ব্যাংক অফ চায়না জানিয়েছে, তারা সর্বোচ্চ ১৬ হাজার ৫০০ কোটি ইউয়ান সংগ্রহ করতে চায়।
এছাড়া, চায়না কনস্ট্রাকশন ব্যাংক ১০ হাজার ৫০০ কোটি ইউয়ান, ব্যাংক অফ কমিউনিকেশনস ১২ হাজার কোটি ইউয়ান এবং পোস্টাল সেভিংস ব্যাংক অব চায়না ১৩ হাজার কোটি ইউয়ান সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীনের ব্যাংকগুলোর মুনাফা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো অর্থনীতির গতি কমে যাওয়া এবং দেশটির আবাসন খাতের দুর্বলতা।
এই পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোকে দ্রুত মূলধন সরবরাহ করা প্রয়োজন, যাতে তারা ঋণ প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সাহায্য করতে পারে।
চীনের অর্থ মন্ত্রণালয়, যা এই চারটি ব্যাংকের অন্যতম প্রধান শেয়ারহোল্ডার, এই মূলধন সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকবে।
ব্যাংক অফ কমিউনিকেশনস-এর শেয়ার ইস্যুর পর মন্ত্রণালয় ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণকারী শেয়ারহোল্ডার হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনের ব্যাংকগুলোর লাভজনকতা ইতিমধ্যে অর্থনৈতিক মন্দা এবং আবাসন বাজারের খারাপ অবস্থার কারণে চাপের মধ্যে রয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে তাদের মুনাফা আরও কমতে পারে।
চীন সরকার চলতি বছরে প্রায় ৫ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
সরকার মুদ্রাস্ফীতি কমাতে এবং মার্কিন শুল্কের প্রভাব মোকাবিলায় আরও বেশি আর্থিক সম্পদ ব্যবহারের অঙ্গীকার করেছে।
চীনের এই পদক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতিতে, বিশেষ করে বাংলাদেশের বাজারে, প্রভাব ফেলতে পারে।
চীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার।
তাই, চীনের অর্থনীতির যেকোনো পরিবর্তন বাংলাদেশের বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন